হৃদযন্ত্রের পর আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে থাকে লিভার। আমাদের শরীরে যত ক্ষতিকর টক্সিন জমে তা লিভারের মাধ্যমেই শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। লিভার যদি তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তালে শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে লিভারের কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। আর লিভারের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা তখনই নিশ্চিত করা যায়, যখন পেট পরিষ্কার থাকে। তাই জেনে নেওয়া যাক যকৃৎ সুস্থ রাখার কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা।
রসুন: রসুনে রয়েছে সালফারের উপাদান যা লিভারের এঞ্জাইমের কার্যকারীতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম যা লিভার পরিষ্কারের পাশাপাশি লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করে। প্রতিদিন অন্তত এক কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
পর্যাপ্ত জল : দিনে প্রায় ৭-৮ গ্লাস (২.৫ লিটার থেকে ৩ লিটার) জল পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। আমাদের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশই হল জল। এই জলই শরীরের টক্সিন লিভারের মাধ্যমে ছেঁকে বের করতে সাহায্য করে। যখনই শরীরে জলের অভাব হবে, তখন লিভারে ও শরীরে টক্সিন জমতে থাকে যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরও ক্ষতি করে।
লেবু আর উষ্ণ জল: উষ্ণ জলেতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে তা যকৃৎ বা লিভারে অনেক বেশি এনজাইম উৎপাদনে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ভিটামিন-সি ‘গ্লুটেথিয়ন’ নামে যে এনজাইম উৎপন্ন করে, তা লিভারের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ জলেতে সামান্য পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে লিভার সুস্থ থাকবে, বাড়বে তার কর্মক্ষমতাও।
গ্রিন-টি: গ্রিন-টি-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেল টক্সিসিটি দূর করে এবং লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক থেকে দু’কাপ গ্রিন-টি পান করার ফলে লিভারে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায়।