মেয়েরা খেতাব জিতেছিলেন গত বছর। ছেলেদের সাম্প্রতিক সাফল্য বলতে অনূর্ধ্ব ১৯ টিমের কোচবিহার ট্রফি জয়। অধরা মাধুরীর স্বাদ দিল অনূর্ধ্ব ২৩ টিম। রবিবার দেরাদুনে জাতীয় অনূর্ধ্ব ২৩ ওয়ান ডে-তে টুর্নামেন্টের ফাইনালে গুজরাতকে ৬৪ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলা।
রবিবার বাংলা প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে। এর উত্তরে ব্যাট করতে নেমে ১৯৩ রানে অল আউট হয়ে যায় গুজরাত। যদিও এক সময়ে ম্যাচের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদেরই। রবিবার গুজরাতের দুই ওপেনার উর্ভিল প্যাটেল (৭৬) এবং কাথান প্যাটেল (৪৬) প্রথম উইকেটের জুটিতে ১০৭ রান যোগ করেন। ২০.৪ ওভারে বাংলার পেসার ঈশান পোড়েল উইকেটে সেট হওয়া কাথান প্যাটেলকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। গুজরাতের শেষ ন’টি উইকেট পড়ে যায় মাত্র ৮৬ রানে।
গুজরাতের ইনিংসে ধস নামিয়ে দেন প্রদীপ্ত প্রামানিক (৫৩ রানে ৩ উইকেট) এবং এ মিশ্র (৪৩ রানে ৩ উইকেট)। ৩০তম ওভারে উর্ভিল প্যাটেল আউট হয়ে যাওয়ার কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি গুজরাতের ব্যাটসম্যানরা। ঈশান পোড়েল ৭.১ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পেয়েছেন দু’টি উইকেট। টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেট শিকারি বাংলার প্রদীপ্ত প্রামানিক (২৪)। সর্বাধিক রান সংগ্রাহক সুদীপ ঘরামি (৫৩৪)। এই প্রতিযোগিতা থেকে সর্বভারতীয় সার্কিটে দারুণভাবে উঠে এলেন তিনি। রবিবার বাংলার হয়ে এদিন সবথেকে বেশি রান করেছেন সুদীপই। তিনি ৭৭ বলে ৫১ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন। অপর ওপেনার অঙ্কুর পালকে ( ২৫) নিয়ে তিনি প্রথম উইকেটে যোগ করেন ৭০ রান। বাংলার অধিনায়ক কাজি জুনাইদ সাফি (৪২) এবং রঞ্জত সিং (৫২) দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যান।
কী ভাবে দল এত ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠল? সৌরাশিসের উত্তর, ‘‘প্রত্যেককে বলে দেওয়া হয়েছিল, ‘কারও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দলকে জেতাতে না পারলে, সেই পারফরম্যান্সের কোনও মূল্য নেই। আগে দল, তার পরে সব। এই মনোভাব প্রত্যেকের খেলায় ফুটে উঠেছে। শুরুর চাপ কাটিয়ে ফাইনালে অসাধারণ ভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছি আমরা।’’
সোমবার রাতে শহরে পৌঁছচ্ছেন ঈশানরা। তাঁদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন সিএবি যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস। তাঁর কথায়, ‘‘যুগ্মসচিব হওয়ার পরেই সাফল্য। তাই আনন্দের মাত্রা অনেক বেশি। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জন্য আমরা গর্বিত। কাল বিমানবন্দরে ফুলের তোড়া দিয়ে প্রত্যেককে বরণ করে নেওয়া হবে।’’ সচিব অভিষেক ডালমিয়ার ঘোষণা, ‘‘দলের প্রত্যেক সদস্যকে পুরস্কারমূল্য হিসেবে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বাংলার এই পারফরম্যান্সে আমরা গর্বিত। বিশেষ ধন্যবাদ জানাব কোচ সৌরাশিসকে। গত তিন বছর একই ভাবে দলের জন্য পরিশ্রম করেছে ও।’’