লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে শতাব্দী রায়ের হ্যাট্রিকের পিছনে মুরারই বিধানসভার অবদান সবথেকে বেশি। এই বিধানসভা থেকে শতাব্দী রায়কে ৬৯হাজার ৪০৩ ভোটে লিড দেয়। লোকসভা ভোটে বিজেপির সংখ্যা বৃদ্ধি হতেই বাংলা জুড়ে হিড়িক উঠেছিল গেরুয়া শিবিরে নামকরণের। কিন্তু গেরুয়া মোহ ভঙ্গ হয়েছে সকলেরই। তাই সকলেই ফিরছেন মমতার ছত্রছায়ায়। গতকাল মুরারইতে অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূলে এলেন ৫০০০ কর্মী।
শুক্রবার মুরারই বিধানসভার বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যোগদান করেন তৃণমূলে। এর ফলে মুরারই বিধানসভা এলাকায় বিজেপির অস্তিত্ব আর থাকল না বললেই চলে। লোকসভা ভোটে মুরারইতে যে জয় পেয়েছে তৃণমূল, সেই ব্যবধান ১০০ শতাংশ ধরে রাখার বার্তা দিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এ দিন মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন মুরারই ১ ও ২ পঞ্চায়েত সমিতির মোট ১৩টি অঞ্চলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে অনুব্রত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, মুরারইয়ের বিধায়ক আবদুর রহমান। কর্মী সম্মেলন শুরুর আগেই অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে কয়েকটি আসন পেয়ে রাজ্য দখল করার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু রাজ্যের মানুষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজের পক্ষে, সেটা আবার প্রমাণ হল।’’