গতকাল যবনিকাপাত ঘটেছে মহারাষ্ট্রের মহা নাটকের। যার পর গতকাল সন্ধ্যায় পূর্বসিদ্ধান্ত মত শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকেই দলনেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের ‘মহা’-জোট ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি’। পাশাপাশি সর্বসম্মত ভাবে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও উদ্ধবের নাম ঘোষণা করেছে তাঁরা। সেয়ানে-সেয়ানে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হার স্বীকার করতেই হল বিজেপির ‘চাণক্য’ অমিত শাহকে।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে প্রথম থেকে হম্বিতম্বি করলেও শেষ পর্যন্ত সততার কাছে হার মেনেছেন ‘চাণক্য’ অমিত শাহ। গত শনিবার যখন বিজেপি ভোরের আলো ভাল করে ফোটার আগেই সরকার গড়ে ফেলেছিল, তখন অমিত শাহকে ভারতীয় রাজনীতির আধুনিক চাণক্য হিসেবে তুলে ধরে হইহই করে প্রচারে নেমে পড়ে গোটা বিজেপি শিবির। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘অমিত শাহই হলেন ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’।’’ কিন্তু খেলা যে তখনও শেষ হয়নি, তা আজ বিজেপির সরকার ফেলে দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন শরদ পওয়ার। চলতি নির্বাচনের ফলাফল আসার পর থেকেই শিবসেনা থেকে এনসিপি — সকলেরই আক্রমণের একমাত্র নিশানা ছিলেন অমিত শাহ। আজ দেবেন্দ্রর ইস্তফার পরে সেই কাজে সফল বিরোধীরা।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছিলেন মোদী-শাহ। কিন্তু না, তাতেও বেরোয়নি সমাধান সূত্র। তারপরেই ইস্তফা দেন ফডনবিশ। আর শেষ হয় অমিতের চাণক্য হওয়ার চেষ্টা। শনিবার দেবেন্দ্র ফডনবিশ শপথ নেওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন অমিত শাহ। আজ তিনি নিশ্চুপ। বিজেপির কাছে এখন সবচেয়ে অস্বস্তির ব্যাপার, গোটা প্রক্রিয়াটিতে অমিত শাহের সঙ্গেই মুখ পুড়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক অমিত শাহ। সামনে উঠে আসছে একাধিক মিম। কোথাও অমিতের ছবি দিয়ে লেখা হচ্ছে “শুধু টাক থাকলেই চাণক্য হওয়া যায় না”, কোথাও চিন্তান্বিত অমিতের ছবি দিয়ে ক্যাপশন যাচ্ছে “আজ টাকার ওপর থেকেও বিশ্বাস উঠে গেল”। কোথাও দেওয়াল লিখছেন শাহ, যার বক্তব্য “আমি চাণক্য নই”। সব মিলিয়ে ঘোর বিপাকে প্রাক্তন চাণক্য অমিত শাহ।