মহারাষ্ট্র যেন এক রঙ্গমঞ্চ। সেখানে সরকার গড়া নিয়ে নাটক অব্যাহত। টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল যখন ঠিক হয়ে যায় উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে সরকার গড়া চূড়ান্ত, সেই মুহূর্তেই রাতারাতি সব হিসেব গুলিয়ে দিয়ে মহারাষ্ট্রের মসনদে বিজেপি। সরকার গড়তে তাদের সাহায্য করছে একদা ‘বিরোধী’ অজিত পাওয়ার। ঘোষণার ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন এনসিপির অজিত পাওয়ার! আর তাতেই ক্ষুদ্ধ হয়েছেন এনসিপি। দলের পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অজিত পাওয়ারকে।
শনিবার সন্ধ্যায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে এ দিন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপিজোট। শীর্ষ আদালতের কাছে একটি আবেদনে তাদের দাবি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিধানসভায় নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করুক দেবেন্দ্র ফডণবিশ সরকার।
এ দিন মুম্বইতে এনসিপির পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়। তাতে স্থির হয়, অজিত পাওয়ারের পরিবর্তে দলের পরিষদীয় নেতার দায়িত্বভার সামলাবেন দিলীপ পাতিল। দুপুরে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে সঙ্গে নিয়ে শরদ আরও জানান, দল থেকে অজিতকে বহিষ্কারের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তা হবে সর্বসম্মতিক্রমে। পরিষদীয় দলের সদস্যদের সিলমোহরের প্রয়োজন ছিল। সন্ধ্যার বৈঠকে অজিতকে সরানোর বিষয়ে সায় দেন পরিষদীয় দলের সদস্যরা।
অজিতের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির ‘স্বেচ্ছাচারী’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন শরদরা। শনিবার রাতেই সেই আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে আশা জোটের। ওই আবেদনে দাবি করা হয়েছে, সরকার গঠনের জন্য বিজেপি তথা দেবেন্দ্র ফডণবিশকে ‘উদ্দেশ্যমূলক ভাবে’ আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। জোটের দাবি, প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও সংসদীয় গণতন্ত্রের নিয়মের বিরুদ্ধে এ কাজ করেছেন রাজ্যপাল।