সবসময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছুটছেন একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। নেই কোনো ক্লান্তি। মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কাজ নিয়েই মেতে আছেন তিনি। তাঁর এনার্জি নিয়ে কারোর মনে কোনো সংশয় নেই। তাঁর বিরোধীরাও তাঁর এই এনার্জি দেখে হতবাক হন। এইবার সেই মমতাকে দেখে আপ্লুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ইডেনে গোলাপি টেস্ট উপলক্ষে এদেশে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর মমতাকে দেখে তিনি বলেই ফেললেন, তুমি এত ছটফট করো কেন? এক জায়গায় বসতে পারো না!
সেই বাম জমানা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থকরা বলে থাকেন, এনার্জির নাম ব্যানার্জি। সেই যাদবপুরে নিজের প্রথম লোকসভা ভোট থেকে ঘরের মেয়ে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হোক বা গোলাপি বলে টেস্ট ক্রিকেট- শুক্রবার ইডেনে মধ্যমণি সেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ইডেনের ঐতিহাসিক গোলাপি টেস্টে ঘণ্টা বাজিয়ে বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শেখ হাসিনা।
পিঙ্ক বল টেস্টের উদ্বোধনে বেজে উঠল দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীত – একযোগে দাঁড়ালেন মমতা-হাসিনা
পিঙ্ক বল টেস্টের উদ্বোধনে বেজে উঠল দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীত – একযোগে দাঁড়ালেন মমতা-হাসিনা
Ekhon Khobor यांनी वर पोस्ट केले गुरुवार, २१ नोव्हेंबर, २०१९
কাঁটায় কাঁটায় ঠিক পৌনে ১২টায় এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মমতাকে দেখে এগিয়ে আসেন সচিন তেন্ডুলকর। দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন দুজন। মধ্যাহ্নভোজনে শেখ হাসিনাকে যত্ন করে খাওয়ান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত পায়েস নিয়ে খেতে শুরু করেন। দিদি হিন্দিতে বলে ওঠেন, বাংলায় একে কী বলে জানো? এটা হচ্ছে বাংলার বিখ্যাত পায়েস। আড্ডায় যোগ দেন সুনীল গাভাসকর। চলে কথাবার্তা।
এর মধ্যেই মমতার এমন আতিথেয়তা দেখে উচ্ছ্বসিত শেখ হাসিনা। ছোট বোনকে বলেই ফেললেন, তুমি এত ছটফট করো কেন? সারাক্ষণ ঘুরে বেড়াও। এক জায়গায় বসতে পারো না। হাসিনার মুখে এমন কথা শুনে মমতার মুখে সেই পরিচিত অনাবিল হাসি। শুধু এখানেই নয়। মমতা এদিন টুইট করে বিসিসিআই, সিএবিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি লেখেন, ‘বিসিসিআই ও সিএবিকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন দেশের প্রথম পিঙ্ক বলের টেস্ট ম্যাচের জন্য।’ পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ থেকে আগত অতিথিদেরও অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী।