ফের একবার সেনাবাহিনীতে নারীদের জয়জয়কার। কারণ আরও এক ইতিহাসের সাক্ষ্মী হতে চলেছে দেশ। বোমারু বিমানের ককপিটে বসার ছাড়পত্র আগেই পেয়ে গেছেন মহিলারা। এবার দেশের নৌবাহিনীর পাইলটের দায়িত্বে প্রথম হাতেখড়ি হতে চলেছে আরও এক কন্যার। লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী। আগামী ৪ ডিসেম্বর নৌসেনা দিবস। তার দু’দিন আগেই পাইলটের আসনে দেখা যাবে শিবাঙ্গীকে।
ভারতীয় নৌবাহিনীতে এতদিন ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্বই সামলেছেন মহিলারা। যাঁদের প্রধান কাজ ছিল অবজারভারের। এই প্রথমবার নৌবাহিনীর পাইলট হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন কোনও মহিলা। আগামী ২ ডিসেম্বর কেরলের কোচি থেকে কাজে যোগ দেবেন তিনি। বিহারের মুজফফরপুরের বাসিন্দা শিবাঙ্গী পড়াশোনা করেছেন ডিএভি পাবলিক স্কুল থেকে। ইঝিমালায় ভারতীয় নৌবাহিনীর অ্যাকাডেমি থেকে ২৭ এনওসি প্রশিকক্ষণ নিয়ে নৌসেনার এসএসসি পাইলট হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন শিবাঙ্গী। আপাতত সাদার্ন ন্যাভাল কম্যান্ডে তাঁর প্রশিক্ষণ চলছে।
লক্ষ্মণরেখা পার হওয়ার রাস্তাটা অবশ্য খুব একটা সহজ ছিল না। বিশেষ করে যখন দীর্ঘ দিনের প্রথা ভেঙে মহিলাদের নৌসেনার পাইলটের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চাননি লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী। বছর কয়েক আগেই যুদ্ধবিমান ওড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন মহিলা এয়ার ফোর্স অফিসারেরা। প্রশংসার বন্যা বয়েছে সারা দেশে। ২০১৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এক মহিলা অফিসার। নজির তৈরি হয়েছিল সে বার। ২০১৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন মোহনা সিংহ, আভানি চতুর্বেদী ও ভাবনা কান্থ। আর এবার বায়ুসেনার পরে নৌসেনার অন্দরেও রাজত্ব করতে চলেছেন মহিলারা।