ক্রিকেটের স্বর্গোদ্যান ইডেন আজ মেতেছে দেশবাসী। আর এই স্বর্গোদ্যানে নেমে এসেছেন ক্রিকেট দেবতা। তাঁর দর্শনেই কেঁপে উঠল ইডেন। আর নিজের প্রিয় ফুলে পুজো পেয়ে যেন ধন্য হলেন ভগবান। ইতিহাস তৈরি হওয়ার মুহূর্তে উপস্থিত থেকে বলে দিলেন, এই রাজকীয় আয়োজন একমাত্র কলকাতায় সম্ভব, একমাত্র ইডেন গার্ডেন্সই করে দেখাতে পারে।
পিঙ্ক বলে দেশের মাটিতে প্রথম টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে সবরকম আয়োজন করেছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কোনও কসুর বাকি রাখেননি তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়করা ছিলেন, ছিলেন সৌরভের সতির্থরাও। প্রথম বিরতির সময় বিসিসিআইকে সাক্ষাৎকার দিতে মাঠে বসে পড়েন ফ্যাব ফোর। ছিলেন শচীন টেন্ডুলকর, অনিল কুম্বলে, হরভজন সিং ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। শচীন মাইক হাতে তুলে নিতেই কেঁপে ওঠে গ্যালারি ভর্তি ইডেন। কয়েক বছর ঘুরে ফের ক্রিকেটের স্বর্গোদ্যান গর্জে শচীন… শচীন… ডাকে। আপ্লুত হয়ে পড়েন মাস্টার ব্লাস্টারও।
সাক্ষাতকার দিতে বসে ইডেনে কাটানো মধুময় স্মৃতি একের পর এক তুলে ধরেন শচীন-ভাজ্জিরা। দেশের সবচেয়ে পুরনো ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত সৃষ্টির জন্য বারবার ধন্যবাদ জানান সৌরভকে। বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে একটা নতুন পাতা যুক্ত হতে চলেছে। এটাই প্রথম দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ। সৌরভ আর ওর টিমের বাকি সকলের প্রচেষ্টায় আজ এটা সম্ভব হয়েছে। আমার মনে হয় দলগত প্রচেষ্টা ছাড়া এই আয়োজন সম্ভব নয়।’
এহেন রাজকীয় আয়োজন একমাত্র কলকাতা এবং ইডেন-ই করতে পারে বলে পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দেন শচীন। ক্রিকেটের জন্য এহেন উন্মাদনা তিলোত্তমাতেই সম্ভব, মেনে নেন তিনি। শচীনের কথায়, ‘এই ধরনের রাজকীয় আয়োজন কলকাতাতেই সম্ভব। কলকাতার একটা আলাদা ঐতিহ্য আছে । কলকাতা এই ধরনের ঐতিহাসিক আয়োজনের জন্যই বিখ্যাত।’ সমর্থনে কলকাতা সবসময় এগিয়ে থাকে, তারই এক বড় উদাহরণ আজকের ঐতিহাসিক টেস্ট।