বাংলার খড়্গপুর দিলীপের গড় নামেই পরিচিত। এখানে দিলীপকে কখনও হতাশ করেনি খড়্গপুরবাসী। তা বিধানসভাই হোক কিংবা লোকসভা। কিন্তু সেই শক্ত ঘাঁটি নিয়ে চিন্তিত দিলীপ।
এবার খড়্গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে আসন ধরে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ দিলীপের কাছে। ইতিমধ্যে সব ছেড়ে তিনি ঠাঁই নিয়েছেন রেলশহরে। নিজের গড় রক্ষা করতে এখন মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
জেতা আসন নিয়ে এত উচাটন কেন? পদ্মশিবিরে কান পাতলে যে খবর ভেসে আসছে, তা অবশ্য সুখকর নয়। দিলীপ ঘনিষ্ঠ প্রেমচাঁদ ঝাকে প্রার্থী করায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে থেকেই দলের একাংশ ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভ সামলাতে দফায় দফায় বৈঠকও করতে হয়েছে দিলীপকে। কয়েক দিন আগেই দলীয় প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল দিলীপকে। রেলের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। বিজেপি থেকে মুখ ফেরাচ্ছে মানুষ। খড়্গপুরে এ বার তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিশ্চিত।’
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ১০ বারের কংগ্রেস বিধায়ক চাচা অর্থাৎ প্রয়াত জ্ঞানসিংহ সোহন পালকে ছেড়ে দিলীপ ঘোষের উপর আস্থা অর্জন করেছিলেন খড়্গপুরের ভোটাররা। তিন বছর পর লোকসভা ভোটে ওই বিধানসভা কেন্দ্রে ৪৪ হাজারের বেশি ভোটে লিড পায় বিজেপি। সেই হিসেব মনে রেখে পুর পরিষেবা ও রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে জোরদার প্রচারে নেমেছেন শাসকদলের নেতারা। তাঁরা বলছেন, ‘তিন বছর বিধায়ক থাকায় সময় দিলীপ ঘোষ খড়্গপুরের জন্য কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেননি। বরং রেল দপ্তরকে দিয়ে পুরসভার কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন।’ তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার বলেন, ‘খড়্গপুরের মানুষের জন্য নানা উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি আমরা। জিতলে রাজ্য সরকারের সহায়তায়তা রেলের সেই সব বাধা দূর করবই।’