ভারতের পরিবেশে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বায়ুদূষণ। এই দূষণের মাত্রার বিচারে এগিয়ে দিল্লী। দিল্লীবাসীর কাছে এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে স্বাসজনিত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পরিবেশবিদরা বা বিশেষজ্ঞদের এমনকি ভারতীয় পরিবেশ কন্টোল বোর্ডের বিভিন্ন রিপোর্টে উঠে আসছে দূষণের মাত্রার এই ভয়াবহ চিত্র। তবু কেন্দ্রীয় পরিববেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের দাবি, গত তিন বছরে দিল্লীর বায়ুর মান অতীতের চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে। বাতাসের মানের দিক থেকে বিচার করলে বেড়েছে ‘ভাল’ ও ‘মাঝামাঝি’ দিনের সংখ্যাও।
গতকাল রাজ্যসভায় যখন জাভড়েকর এই দাবি করছেন, তখন রাজধানীতে সেদিনের বাতাসের গুণগত সূচক ছিল ৩২৮। যা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত তিন গুণ বেশি। নয়ডার অবস্থা আরও খারাপ। দিন ভর সূর্য দেখা যায়নি দিল্লীতে। জাভড়েকরের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদেরা।
আর এমসের পরিসংখ্যান বলছে, তিন-চার বছরে শ্বাসজনিত রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়েছে ওই হাসপাতালেই। পরিবেশমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, ‘‘২০১৬ সালের তুলনায় আজকের দিনে বায়ুর মান অনেক ভাল।’’ তিনি জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে রাজধানীর বায়ুর মান ২০ থেকে ৩০ শতাংশ উন্নত করার জন্য ‘জাতীয় স্বচ্ছ বায়ু কর্মসূচী’ নেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে লোকসভায় আজ দূষণ নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে বলিউডের জনপ্রিয় কয়েকটি গানের কথা। বিজেপির সুনীতা দুগ্গলের দাবি, বাতাসের মান এমন থাকলে বলিউড আগামী দিনে খোলা হাওয়া নিয়ে গান গাওয়া বন্ধ করে দেবে। শোনা যাবে না ‘জব চলি ঠান্ডি হাওয়া’-র মতো কোনও গান। জবাব দেন গায়ক-মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বলেন, বায়ুদূষণ আটকাতে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। যাতে সকলেই ‘সীতা আউর গীতা’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘হাওয়া কে সাথ সাথ…’ গাইতে পারেন। রাজ্যসভা নাকি গানের মহড়া ভুলে যাচ্ছে জনতা। দিল্লীর বায়ুর এই ভয়াবহ অবস্থা নিয়েও উদাসীন সরকার।