প্রথম দিন থেকে ব্যাপক ভাবে সমাদৃত হয়েছে ‘দিদিকে বলো’। মানুষ মন খুলে মমতাকে জানিয়েছেন তাঁদের মনের কথা। এখন চলছে এই কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্ব। জোরকদমে প্রচার করছেন কাটোয়ার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষের দোরগোড়ায়।
কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ইতিমধ্যেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীতে বেশকিছু গ্রাম ও দাঁইহাট পুরসভা ঘুরেছেন। এবার কাটোয়া শহরের ১৪ নং ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লী, ন্যাশানাল পাড়া, পঞ্চবটি পাড়াগুলি ঘুরলেন। পুরসভার বিভিন্ন প্রকল্প কার্যকর করা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেন। এরমধ্যেই খবর পান, ২০ নং ওয়ার্ডের প্রান্তিক পাড়ায় ১০ কাঠা আয়তনের একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে পুরসভার আধিকারিককে নির্দেশ দেন, ৭ দিনের মধ্যে জলাশয়টিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নোটিশ পাঠাতে। নাগালের মধ্যে বিধায়ককে পেয়ে অভাব–অভিযোগ উগরে দেন বহু বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম মহন্তর বাড়িতে নিশিযাপন করেন বিধায়ক।
প্রচার করছেন পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও। স্বপনের বিধানসভা এলাকায় কোনও শহর নেই। তাই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীতে প্রায় রোজ সকালেই হাজির হচ্ছেন গ্রামবাসীদের দরজায়। দিনভর টহল দিয়ে রাত কাটাচ্ছেন কোনও বাসিন্দার ঘরে।
স্বপনবাবু গত ২ দিন ধরে ঘুরলেন কালনা ১ নং ব্লকের সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোপালপুর–সহ বিভিন্ন গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দাদের দেওয়া টিফিন মুড়ি–আলুর তরকারি খেতে খেতে শুনলেন নানান সমস্যার কথা। অভিযোগের তালিকায় উঠে আসে রাস্তা, আবাসন, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, স্বাস্থ্যসাথী–সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের কার্ড প্রভৃতি। অসুখে শয্যাশায়ী এক যুবককে নিজের পকেট থেকে এক মাসের ওষুধের টাকা দেন। গোপালপুর পূর্বপাড়া ও তেহাটা কলেজ যাওয়ার রাস্তাটিকে চলাচলের যোগ্য করার জন্য সঙ্গে থাকা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রেফাতুল্লা মোল্লাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। হিন্দু–মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের নানান যৌথ কর্মসূচির স্থান বারোয়ারিতলা প্রাঙ্গণ সংস্কারের জন্য নিজের বিধায়ক তহবিলের ৫ লাখ টাকা দানের প্রতিশ্রুতি দেন।