ক্যানসার চিকিৎসায় যুগান্তকারী পথ দেখাচ্ছেন বেঙ্গালুরুর বিজ্ঞানী রাজেশ বিজয় কুমার। ক্যানসার কোষের বেড়ে ওঠা বন্ধ করবে এমনকি স্তন ক্যানসার, লিভার ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার থেকে মিলবে মুক্তি। এমনই এক যন্ত্রের আবিষ্কার করে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ভারতের এক বিজ্ঞানী।
মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (USFDA) সেন্টার ফর ডিভাইস অ্যান্ড রেডিওলজিক্যাল হেলথ এই যন্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, মালয়েশিয়া, হংকং-সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ক্যানসারের চিকিৎসায় সাফল্য পেয়েছে এই যন্ত্র। ভারতে আসা এখন শুধু সময় আর অনুমতির অপেক্ষা।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী মারণ রোগ হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে ক্যানসার। ক্যানসার আক্রান্ত কোষ অতি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এই ধরনের ক্যানসার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে রোগীকে বাঁচানো ভীষণ কঠিন হয়ে পড়ে।
১৯৮৭ সালে প্রথম এমন একটি যন্ত্র বানানোর পরিকল্পনা করেন ভারতীয় বিজ্ঞানী। তিনি যার দ্বারা ক্যানসার কোষ নির্মূল করা যায় চিরতরে। জানিয়েছেন, ৩০ বছরের বেশি সময় লেগেছে এই যন্ত্র বানাতে। ভোপালের ‘সেন্টার অ্যান্ড অ্যাডভান্সড রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট’-এ শুরু হয় ‘সাইটোট্রন’ বানানোর কাজ। ২০১২ সালে যন্ত্রের পেটেন্ট পেয়ে যান রাজেশ। ক্যানসার ও আর্থ্রাইটিস রোগীদের উপর কাজ করতে শুরু করে সাইটোট্রন’।
কিভাবে কাজ করে এই যন্ত্র?
এটি দেখতে এমআরআই স্ক্যানার মেশিনের মতো। ‘রোটেশনাল ফিল্ড কোয়ান্টাম নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স’ পদ্ধতিতে কাজ করে ‘সাইটোট্রন’। এটি একধরনের রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি টুল যা টার্গেট কোষকে ভাল করে নিরীক্ষণ করে এফআরবি পদ্ধতিতে। তারপর কোষের ক্ষত সারানোর কাজ শুরু হয়।