‘দেশের কৃষকরা যখন ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করছেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বিদেশ ভ্রমণ করে বেড়াচ্ছেন।’ বারবারই এই অভিযোগ করে এসেছে বিরোধীরা। এমনকী ‘এনআরআই’ প্রধানমন্ত্রী বলেও কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তাতে কী? এত ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের পরও দেশ ভ্রমণের নেশা কমেনি নরেন্দ্র মোদীর। দেখা গেল, মোদীর গত তিন বছরের বিদেশ সফরে শুধু মাত্র চার্টার্ড বিমানের খরচই হয়েছে ২৫৫ কোটির বেশি! এর সঙ্গে রয়েছে হটলাইন ও অন্যান্য খরচের বহর। রাজ্যসভায় এই তথ্য দিয়েছে খোদ বিদেশমন্ত্রক। তবে ২০১৯-২০ সালের হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরন।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে মুরলিধরন জানিয়েছেন, ২০১৬-১৭ সালে মোদীর চার্টার্ড বিমানের ভাড়া বাবদ খরচ হয়েছে ৭৬ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। ২০১৭-১৮ সালে সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় ৯৯ কোটি ৩২ লক্ষ। ২০১৮-১৯-এ গুণতে হয়েছে ৭৯ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে খরচ প্রায় ২৫৫ কোটি টাকা। অন্য দিকে, হট লাইনের জন্য ২০১৬-১৭ সালে খরচ হয়েছে ২ কোটি ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৫১ টাকা এবং ২০১৭-১৮ সালে ৫৮ লক্ষ ৬ হাজার ৬৩০ টাকা। এ ক্ষেত্রে আবার এই দুই বছরের হিসেবই শুধু দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। রাজ্যসভায় মুরলিধরন বলেন, ‘ভারত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি সফরে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার বা চার্টার্ড বিমানযাত্রার খরচ প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হয় না।’ কিন্তু তাই বলে সেই খরচের বহর এত বেশি? সরব বিরোধীরা।