কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপের পরে সেখানকার স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার যে খুবই কম ছিল তা সংসদে মেনে নিল কেন্দ্র। সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষণ রেড্ডি জানিয়েছেন, “আগে পড়ুয়ার সংখ্যা কম থাকলেও এখন জম্মু-কাশ্মীরে পরীক্ষা চলছে। এখন পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ৯৯.৭ শতাংশ”।
বিশেষ মর্যাদা লোপের পর স্কুল খুললেও অধিকাংশ অভিভাবকই সন্তানকে পাঠাতে রাজি ছিলেন না। কারণ স্বভাবতই পরিস্থিতি খারাপ ছিল। ফলে স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল খুবই কম। কিন্তু ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বাছাই করা সদস্যদের কাশ্মীর সফরের সময়ে সেখানে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে দেখাতেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছিল বলে দাবি করেন বিরোধীরা। বিরোধীদের আরও বক্তব্য, কোনও পরীক্ষার্থীই এক বছর পিছিয়ে পড়তে চাইবে না। তাঁদের প্রশ্ন, পরীক্ষার সময়ের উপস্থিতির হার দিয়ে কি বোঝানো যাবে যে কাশ্মীরে স্কুল স্বাভাবিক ভাবে চলছে?
এ দিন রাজ্যসভায় কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চেয়ে নোটিস দিয়েছিল বিরোধীপক্ষ। এ নিয়ে সরবও হন দুই দলের সাংসদেরা। কিন্তু পরে রাজ্যসভার অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়। তবে রেড্ডি লোকসভায় দাবি করেছেন, প্রথমে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার কম থাকলেও পরে ধীরে ধীরে তা বেড়েছিল। যদিও কোনও স্কুলে তার প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি স্থানীয় সূত্রের।
কেন্দ্র জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা লোপের পর থেকে পাথর ছোড়ায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৭৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে পাথর ছোড়ার ঘটনা কমেছে বলেও দাবি তাদের।