লোকসভা নির্বাচনের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন দলের পুরনো কর্মীদের সক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার তাঁর পথেরই পথিক হলেন প্রশান্ত কিশোর। আগামী বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতেও বিশ্বাসযোগ্য মুখ খুঁজতে তৃণমূলের পুরনো নেতা-কর্মীদের সচল করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভোট কৌশলী পেশাদার প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক।
প্রসঙ্গত, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর সুবাদে অধিকাংশ বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের জনসম্পর্কের বহর অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। তাকে কাজে লাগিয়েই দলে নতুন মুখ আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বুথ পিছু চারজনের নামের তালিকা পিকের দফতরে পাঠানোর কাজ প্রায় শেষ হতে চলেছে। এই তালিকায় নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পেশা ইত্যাদি দিতে হয়েছে। প্রয়োজনে এই তালিকায় থাকা কোনও ব্যক্তিকে সরাসরি পিকের দফতর থেকে ফোন করে কোনও তথ্য যাচাই করা হতে পারে।
তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান বিধায়কের মতে, বসে গেলেও অনেকের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। তাঁদেরকে দলের সাংগঠনিক পরিসরে সক্রিয় করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, সেই উদ্দেশ্যেই আইপ্যাকের তরফে ফোন করে পুরনো কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরনোদের কাজে ফেরানোর পাশাপাশি নতুন মুখের খোঁজও শুরু হয়েছে। দলের জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পিকে নিজেই সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন। বুথস্তর থেকে এলাকায় বিশিষ্টজন, যাঁদের ভাবমূর্তি সমাজে উজ্জ্বল, এমন মানুষকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে আনার জন্য পরিকল্পনা নিতে হবে। সেই উদ্দেশ্যেই জেলা নেতাদের কাছে এলাকাভিত্তিক সম্ভাব্য নামের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আট বছর ধরে একটানা রাজ্যে সরকার পরিচালনার পরেও সেই জনপ্রিয়তার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত। যার সুবাদে অভূতপূর্ব বিস্তৃতি পেয়েছে রাজ্যের শাসক দলের সংগঠন। বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনেও তৃণমূলের বিজয় তো বটেই, প্রাপ্ত ভোটের নিরিখেও তৃণমূলের আধিপত্য প্রশ্নাতীত। এই সাফল্যের জেরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন থেকে তৃণমূলে যোগদানের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে।