বিধায়ক থাকাকালীন এবং বর্তমানে সাংসদ এই দুইয়ের কোনও সময়েই সাধারণ মানুষ দেখা পাননি খড়গপুরের প্রাক্তন বিধায়ক এবং বর্তমান সাংসদ বিজেপির দিলীপ ঘোষের। যার ফলে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু এবার সামনেই উপনির্বাচন। তাই ফের ভোট বাক্সের ওজন বাড়াতে আচমকাই জনদরদী হয়ে উঠেছেন দিলীপ। তাই ব্যবসায়ীদের সমস্যা জানতে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। যা রীতিমত বুমেরাং হয়ে এল। ব্যবসায়ীদের অভিযোগে জেরবার হলেন দিলীপ।
বৈঠকে ব্যবসায়ীদের একাংশ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগরে দেন। যা কার্যত বিক্ষোভের শামিল। ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে যান তিনি। তাঁদের শান্ত করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বিজেপির কর্মীদের। ২৫ নভেম্বর খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে ব্যবসায়ীদের ভোট পাওয়ার এই কৌশল বুমেরাং হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
ব্যবসায়ী সুভাষ বাদোড়িয়া জানান, “৫০ বছরের আগে থেকে সমস্যার কথা বলে আসছি। আপনার জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। আমাদের সমস্যার কোনও সমাধান হয় না। আমাদের বিপাকেই পড়ে থাকতে হয়। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বললেও ব্যবসায়ীরা ভাড়ার টাকা দিলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তা নেওয়া হচ্ছে না। সমস্ত রকমের অসহযোগিতা করছে রেল”।
গোলবাজার এলাকায় ৪৮০ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। যারা রেলওয়েকে মোটা অঙ্কের টাকা ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করেন বলে দাবি করেছেন। অথচ ওই সমস্ত ব্যবসায়ীর দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমতি দেয়নি রেল। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হলেও এসি লাগানোর অনুমতি মেলেনি অনেক দোকানের। নেই কোনও শৌচাগার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধা।
ব্যবসায়ীদে অভিযোগ এর আগে দিলীপকে জানানো হলেও তিনি বিন্দুমাত্র কোনও পদক্ষেপ নেননি। দিলীপের সামনে রেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরেন তারা। ওই ব্যবসায়ীরা দিলীপকে কাছে পেয়ে অভিযোগ জানান, রেল মোটা টাকা ভাড়া নেয় তঁাদের কাছ থেকে। কিন্তু রেল আধিকারিকরা কোনও রকম সুযোগ–সুবিধাই তাঁদের দিচ্ছেন না। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। তাই একথা বলাই বাহুল্য যে এই বৈঠক বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়িয়েই তুলল।