সরকার গঠন নিয়ে ফের একবার ডিগবাজি খেলেন শরদ পাওয়ার। সোমবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে নয়া জল্পনার জন্ম দিলেন এনসিপি সুপ্রিমো। তিনি বলেছেন, বিজেপি-সেনা নিজের রাস্তা দেখুক। এনসিপি-কংগ্রেস নিজেরটা দেখবে। পাওয়ারের এই মন্তব্যেই ফের অন্য মোড় নিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। আজ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টা আগে শিবসেনাকে নিয়ে কিছুটা বেসুরো এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা মিলেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করছে কিনা, সাংবাদিকের সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘তাই’? শরদ পাওয়ারের এই উত্তরে শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি মিলে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের আলোচনা কতটা ফলপ্রসু হবে তাই নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
মতাদর্শগত প্রশ্নে কংগ্রেসের বিপরীত মেরুতে থাকা শিবসেনার সঙ্গে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে প্রথম থেকেই দ্বিধায় সনিয়া গান্ধী। মহারাষ্ট্রের কুর্সি নিয়ে ঝামেলার জেরেই বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে তাদের সবচেয়ে পুরনো এই শরিক দল। শুক্রবারই ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার জানান যে শিবসেনার সঙ্গে হাত মিলিয়েই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করবে এনসিপি ও কংগ্রেস। সেই সরকার পুরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে বলেও দাবি করেন তিনি।
কিন্তু ৩ দিনের মধ্যেই নিজের বক্তব্য থেকে কিছুটা সরে এলেন শরদ পাওয়ার। তিনি বলেন, ‘শিবসেনা ও বিজেপি আলাদা ভাবে নির্বাচনে লড়েছে, অন্যদিকে কংগ্রেস ও এনসিপি আলাদা ভাবে নির্বাচনে লড়েছে। বিজেপি-শিবসেনা নিজেদের রাস্তা দেখে নিক, আমরা আমাদের রাজনীতি করব।’ মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনের বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি আসন, শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন, এনসিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন এবং কংগ্রেস পেয়েছে ৪৪টি আসন।
উল্লেখ্য, আজই শিব সেনার সঙ্গে এনসিপি-কংগ্রেস জোট করে সরকার গড়বে কিনা তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা। কারণ এদিনই এই ইস্যুতে বৈঠকে বসছেন পাওয়ার ও সোনিয়া গান্ধী। তার আগে শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে সংসদে আসেন পাওয়ার। তখন সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন শিব সেনার সঙ্গে জোট গড়ার প্রসঙ্গে। অন্যদিকে, শিব সেনা ঘোষণা করেছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করবে তারা। এনসিপির সমর্থনেই সেই সরকার হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন শিব সেনার নেতারা। যদিও সরকারিভাবে এনসিপির তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।