শেক্সপিয়ার বলেছিলেন, ‘নামে কী আসে যায়!’ কিন্তু যোগী রাজ্যে ‘রাম’ ও ‘নাম’ দুটোই খুব বড় ইস্যু। যে কারণে নাম বদলের রাজনীতি থেকে যেন আর সরে আসতে পারছেন না যোগী আদিত্যনাথ। একের পর এক অনেকগুলি স্টেশন থেকে শুরু করে শহরের নাম পরিবর্তন করেছেন তিনি। এবার তাজমহলের শহর আগ্রা তাঁর নিশানায়। এবার আগ্রার নাম বদলে ‘অগ্রবান’ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন তিনি। এই নিয়ে আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও চেয়েছে যোগী সরকার।
শহরটির নাম আগ্রা হওয়ার পিছনে ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী? এর পিছনে কোনও মোঘল সম্রাটের কলকাঠি নাড়ার কোনও ইতিহাস আছে কিনা, বা আগে এর কোনও হিন্দু নাম ছিল না, ইত্যাদির অনুসন্ধান চালাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব পেয়ে ইতিমধ্যে গবেষণার কাজও শুরু করে দিয়েছেন অধ্যাপকরা।
সূত্রের খবর, সরকারে থাকা অনেকেই বিশ্বাস করেন প্রাচীনকালে আগ্রার নাম ছিল অগ্রবান। বহু বছর আগে মোঘল সম্রাটদের আমলে অগ্রবান নাম বদলে সেটা আগ্রা করে দেওয়া হয়। এই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই আগ্রার নাম বদলে অগ্রাবন করে দিতে চান যোগী। তবে কীভাবে আগ্রাবন নাম পরিবর্তন করে আগ্রা করা হয়েছিল তা নিশ্চিত নয়। তাই কোন পরিস্থিতিতে, কীভাবে অগ্রবান নাম বদলে আগ্রা করা হল তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে ঐতিহাসিক ও বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর যোগী যেই কাজটা সবথেকে নিষ্ঠা নিয়ে করেছেন তা হল নাম পরিবর্তন। সবার আগেই ঐতিহাসিক মুঘলসরাই স্টেশনের নাম বদলে দীনদয়াল উপাধ্যায় করে দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, ফৈজাবাদের নাম বদলে করা হয় অযোধ্যা। শুধু তাই নয়। আখড়া পরিষদের প্রস্তাবে সায় দিয়ে এলাহাবাদের নাম বদলেও প্রয়াগরাজ করে দেন যোগী। এবারও সব তাঁর ইচ্ছেমতো চললে, আগ্রার নাম বদলে ‘অগ্রাবন’ হয়ে যাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা।