সাম্প্রতিক ফি বৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন জেএনইউ- এর ছাত্র সংসদের সদস্যরা। পুলিশের সঙ্গে তারা হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন।এই বিক্ষোভের জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দিল্লীর জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-আন্দোলনের চাপে পিছু হঠেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক টুইট করে বলেছিল দিল্লীর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেলের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না। এবার ছাত্র আন্দোলন রুখতে আজব দাওয়াই দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্য স্বামী। তিনি বললেন, “ ২ বছর বন্ধ থাক জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়”।
তাঁর সোজা কথা, দু’বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হোক জেএনইউ৷ হস্টেলে ফি বৃদ্ধি সহ অন্যান্য ইস্যু নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে দিল্লীর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। এরকম পরিস্থিতিতে শীর্ষ বিজেপি নেতা তথা রাজ্য সভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী সোমবার এক ‘ব্লুপ্রিন্ট’–এর পরামর্শ দিয়েছেন। যাতে কেন্দ্রীয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা যায়।
এখানেই থামেননি বিজেপি সাংসদ। স্বামী সরকারকে শক্ত হাতে জেএনইউ-র ছাত্র আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়েছেন৷ এই আন্দোলনে তিনি এতটাই ক্ষিপ্ত যে ভেবে উঠতে পারছেন না জওহরলা নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের ভেতর পুলিশ নাকি আধা সেনার প্রহরা বসাবেন৷ তাঁর কথায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত মেধাবী পড়ুয়াদের দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। তাহলে তাঁরা তাঁদের অসম্পূর্ণ পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন। তিনি এও জানান যে সরকার যদি শক্ত হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল ধরে তবে অবশ্যই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং জেএনইউ–এর পরিকাঠামো আরও উন্নত হবে।
স্বামীর এহেন মন্তব্যের পর স্বাভাবিক ভাবেই চারপাশে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বলা হচ্ছে এভাবে একজন নেতা কি করে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কথা বলতে পারে? বলা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ বা সেনা পাহারার ব্যবস্থা করার কথা বলাও কি ঠিক? তবে এহেন নিন্দনীয় মন্তব্যের পর মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্বামী।