আবার বিশ্ববাসী দেখল দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর ধুন্ধুমার লড়াই। স্থান সেই লন্ডন। মুখোমুখি নোভাক জকোভিচ বনাম রজার ফেডেরার। সেই ম্যাচেই স্ট্রেট সেটে নোভাক জকোভিচকে ছিটকে দিয়ে এটিপি ট্যুর ফাইনালসের সেমিফাইনালে উঠে গেলেন ফেডেরার। ম্যাচের স্কোর ফেডেক্সের পক্ষে ৬-৪, ৬-৩। বিশ্বের দু’নম্বর জকোভিচের কাছে যেন কোনও জবাবই ছিল না।
ম্যাচ শুরুর আগে ৭৫ মিনিট ধরে ফেডেরারের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন দুই কোচ সেভেরিন লুথি এবং ইভান লিউবিচিচ। সুইস তারকার ঠিক ৭৩ মিনিট লেগেছে সেই সব প্ল্যান কার্যকর করতে। ৭৫ মিনিট নিয়ে ম্যাচ জেতার প্ল্যানিং নিয়ে ফেডেরারের মন্তব্য, ‘আমার টিমের সঙ্গে অনেক লম্বা আলোচনা হয়েছিল এই ম্যাচের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট ধরে নানা রকম সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ওঁরা আমাকে বলেছিলেন, কী কী হতে পারে। কিন্তু যখন কোর্টে নামি, তখন নিশ্চিত থাকা যায় না এই স্ট্র্যাটেজিগুলো খেটে যাবে।’ তাঁর সংযোজন, ‘ম্যাচের শুরুতে বেসলাইন থেকে খেলা শুরু করতে ছন্দটা পেয়ে যাই। সেই সঙ্গে সার্ভিসও। মনে হচ্ছিল, নোভাক একটু ঝুঁকি নিচ্ছে। সেই সুযোগই নিয়েছি।’
জকোভিচের বিরুদ্ধে ২৩ তম ম্যাচ জিতলেন ফেডেরার। জোকার অবশ্য এই লড়াইয়ে ২৬-২৩ এগিয়ে। ফেডেক্সের মন্তব্য, ‘আমি মনে করতাম, ওকে হারানোর সুযোগ আমি পাবই। খুশি হতে পারছি, এই পর্যায়ে খেলতে পারে। নোভাককে হারানো সব সময় স্পেশ্যাল। কিন্তু এর সঙ্গে ভূতের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার কিছু ছিল না।’ জুড়ে দিয়েছেন, ‘এ বছর আমি ভালোই ছন্দে আছি। এই জয় সেটাই প্রমাণ করছে।’
অন্যদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাফায়েল নাদাল ৬-৭, ৬-৪, ৭-৫ হারালেন সেমিফাইনালে চলে যাওয়া স্তেফানোস সিসিপাসকে। তবে নাদাল এখনই নিশ্চিত নন সেমিফাইনালে। আলেক্সান্ডার জেরেভের ম্যাচের উপর নির্ভর করবে। তবে এই ম্যাচ জিতে নাদাল বর্ষ শেষে ক্রমতালিকায় এক নম্বর ধরে রাখলেন। সেই ট্রফিও এ দিন দেওয়া হল তাঁকে।