১৪ নভেম্বর ছিল বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস। আর সেদিনই সামনে এলো এ রাজ্যের ডায়াবেটিসের চিত্র। তথ্য বলছে, কলকাতা, হাওড়া ও বর্ধমানে বিপজ্জনক ভাবে বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। আর ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে কম দুই দিনাজপুর ও পুরুলিয়া জেলাতে।
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, পেটে চর্বি জমলে ভুঁড়ি বাড়ে, যা বেশ বিপজ্জনক। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম সুযোগই করে দেয় এই ভুঁড়ি। ফলে সেখান থেকেই আটকাতে হবে শরীরকে। তা না হলে এই অসুখের সঙ্গে শুধু ওষুধ দিয়ে লড়াই করা সম্ভব নয়। চিকিৎসক মহলের প্রস্তাব, স্কুল স্তর থেকেই এই ডায়াবেটিস প্রতিরোধের লড়াইটা শুরু করা যাক। নইলে পরবর্তী প্রজন্মকে নিরাপদ রাখা কার্যত অসম্ভব।
ডক্টর সরফরাজ বেগ এই প্রসঙ্গে বলেন, “এমনটার কী কারণ হতে পারে, তা খুঁজছি আমরা। প্রাথমিক গবেষণা বলছে, এই তিন জেলার মানুষ মশলাদার খাবার বেশি খান। মিষ্টিও বেশি খান। তুলনায় শারীরিক পরিশ্রম কম করেন অনেক। খেলার মাঠের সংখ্যাও এই জেলাগুলিতে কম। ফলে মানুষের শরীরে চর্বি জমছে বেশি।”
পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগীদের যে ভিড় বাড়ছে, তার মধ্যে একটা বড় অংশই ডায়াবেটিসের রোগী। তাঁদের সংখ্যা অত্যন্ত দ্রুত বাড়ছে। অর্থাৎ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অসুখের প্রকোপও বাড়ছে। এর গতি সামাল দেওয়ার জন্য সর্বতো ভাবে চেষ্টা করতে হবে সকলকে।