শতচেষ্টা করেও মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়তে পারল না শিবসেনা-এনসিপি৷ অগত্যা এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি শাসনই মেনে নিতে হলো মহারাষ্ট্রকে৷ রাজ্যপাল ভিএস কোশিয়ারি সংবিধান ভেঙেছেন কিনা, তা নিয়ে আলোচনার মাঝে নতুন সমীকরণ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে৷ এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, গঠনগত আলোচনা হচ্ছিল কংগ্রেসের সঙ্গে৷ সঠিক পথে এগোচ্ছিল দুই দল৷ এদিন তিনি বলেন, তাঁদের দল এবং কংগ্রেস প্রথমে আসন রফা ফর্মুলা ঠিক করবে৷ এরপর শিবসেনাকে তাঁরা প্রস্তাব দেবে৷ কোনও বিধায়ক দলত্যাগ করতে চাইলে, তা রোখার কৌশল নিয়েও আলোচনা হচ্ছে৷
গতকাল মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পর আজ এনসিপির অজিত পাওয়ার বলেন, দুই দলের শীর্ষ নেতা আহমেদ পাটিল, পাওয়ার সাহেব যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে সব ধোঁয়াশা দূর করেছেন৷ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে তাঁদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন৷ তাঁরা কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে দ্রুত কথা বলবে বলে জানিয়েছেন৷ তিনি আরও জানান, জোট নিয়ে ৩ দলের মধ্যে কোনও ধোঁয়াশা নেই৷
পাওয়ার নতুন ফর্মুলা সম্পর্কে বলেন, কংগ্রেস ও এনসিপি জোট শরিক৷ তাঁদের মধ্যে সমঝোতা সবার আগে প্রয়োজন৷ আমরা কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম নিয়ে প্রথমে কথা বলব৷ এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে সেনার সঙ্গে কথা শুরু হবে৷ পাওয়ার বলেন, দলত্যাগীদের আটকাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷ এই অবস্থায় কোনও বিধায়ক দলত্যাগ করবেন না৷ এরপরেও কোনও বিধায়ক দলত্যাগ করলে, কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা একসঙ্গে এসে উপনির্বাচনে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে যৌথভাবে প্রার্থী দেবে৷