রাজ্যের তিন উপনির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, তিন বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য আসবে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৫ কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে খবর। খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রটিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসায় শুরু হয়েছে প্রবল সমালোচনা।
২৫ নভেম্বর রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ভোট হবে খড়গপুর, করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভায়। কালিয়াগঞ্জের প্রয়াত কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের অকাল মৃত্যুর কারণে এই আসনে উপনির্বাচন। আর তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র এবং বিজেপি’র দিলীপ ঘোষ সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় করিমপুর এবং খড়গপুর আসন দু’টি খালি হয়ে যায়। কালিয়াগঞ্জ আসনটি কংগ্রেসের দখলে ছিল।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এখনই অনেকটা এগিয়ে রয়েছে জোড়াফুল শিবির। নদিয়ার করিমপুর কেন্দ্রে জোর লড়াইয়ের সম্ভাবনা প্রবল। এই পরিস্থিতিতে কড়া হাতে নির্বাচন পরিচালনা করতে চায় কমিশন। সূত্রের খবর, দিল্লী থেকে ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে নির্দেশ। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরকে বলা হয়েছে, কড়া হাতে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য। ইতিমধ্যেই ৬ জন পর্যবেক্ষক এসেছেন রাজ্যে।
এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভোটের দামামা বাজাতেই কী নিয়ে আসা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী? বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই কী এই ব্যবস্থা? কারণ সামান্য উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসাকে বাড়তি কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।