কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা মোদী সরকার বারবারই বলছে, দেশের অর্থনীতি ঠিক পথেই এগোচ্ছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে আগেই যেমন অশনি সঙ্কেত শুনিয়েছিল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও বিশ্বব্যাঙ্ক, এবার ঠিক সেই মতোই আর্থিক মন্দা থাবা বসাল ভারতের আন্তর্জাতিক রেটিংয়ে। স্থিতাবস্থা তো নয়ই, বরং একেবারে নেতিবাচক। ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যত নিয়ে এমনই আশঙ্কাজনক পূর্বাভাস দিয়ে দেশের রেটিং স্থিতিশীল (স্টেবল) থেকে কমিয়ে নেতিবাচক (নেগেটিভ) করে দিল রেটিং প্রদানকারী সংস্থা মুডিজ ইনভেস্টর সার্ভিস। রেটিং স্টেবল থেকে নেগেটিভ করার অর্থ নিম্নমুখী হওয়ার প্রথম ধাপ। আর ঢিমেতালে চলা অর্থনীতি ও সরকারের বাড়তে থাকা ঋণের বোঝাই এই রেটিং কমার কারণ।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। যা ২০১৩ সাল থেকে সর্বনিম্ন। অব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি নগদ সঙ্কটে ধুঁকছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরো ব্যবসা, গাড়ি শিল্প, আবাসন ও ভারী শিল্পে। আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডিজ জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে (২০১৯-২০) ভারতের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ বাড়বে। ৩.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৩.৭ শতাংশ। তাদের মতে, এর সবথেকে বড় কারণ আর্থিক বৃদ্ধির ঢিমে গতি এবং কর্পোরেট কর কমানো। অন্যদিকে, ক্রেডিট রেটিং কমলেও ভারতের কারেন্সি রেটিং ‘বিএএ-২’-ই রয়েছে। যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। রেটিং কমানোর পর বিবৃতি দিয়ে মুডিজ সাফ জানিয়েছে, ‘অতীতের তুলনায় আর্থিক বৃদ্ধির হার কম থাকবে। যার অর্থ দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সমস্যা ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা মেটাতে কাজে আসেনি সরকারের নীতি। ফলে ঋণের বোঝা বাড়বে।’