রাজনৈতিক মঞ্চে বারবারই তাঁর জ্বালাময়ী বক্তৃতায় বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মনের বল। জাগিয়েছে আশা। বাংলার মসনদে বসে চালাচ্ছেন রাজ্যপাট। তবে তিনি একজন সচেতক হিসেবে সবসময় সমাজের ঠিক ভুল নিয়ে কথা বলেছেন। শুধু তিনি বক্তৃতায় নয়, তাঁর কলম কিংবা তুলি টানে এসেছে প্রতিবাদ। সেই মর্মেই আবার একবার গর্জে উঠল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলম। অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে প্রথম থেকেই নিশ্চুপ তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে ধরলেন কলম। নিজেই তাঁর কবিতা ছড়িয়ে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রসঙ্গত, তিন দিন আগে তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে দলের কোর গ্রুপের বৈঠক ডেকে দিদি বলেছিলেন, অযোধ্যা রায় স্পর্শকাতর বিষয়। রায় ঘোষণার পর কেউ যেন তা নিয়ে আলটপকা মুখ না খোলেন। যা বলার তিনিই বলবেন। শনিবার অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পর দেখা গেল তৃণমূলের নেতারা কথা রেখেছেন। কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাৎপর্যপূর্ণ হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি।
দিনের শেষে দিদির লেখা ‘না বলা’ কবিতাতে ‘অযোধ্যা’, ‘বাবরি মসজিদ’, ‘সুপ্রিম কোর্ট’ এ সব কোনও শব্দের উল্লেখ নেই। কবিতায় মোদ্দা একটা কথা বলা হয়েছে, তা হল—“অনেক সময় কথা না বলেও অনেক কথা বলা যায়”। এই কবিতার ছত্রে উঠে এসেছে ‘কথা না বলার’ প্রসঙ্গ। তাই কোনো মন্তব্য না করেই জবাব দিতে চাইলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তাঁর ছত্রে তুলে ধরলেন, ‘কষ্ট পেলে ‘কষ্টমর্ম’ প্রতি ছত্রে গাঁথা থাকে’ এমন লাইন। যা দিয়ে তিনি তাঁর মনের কষ্টের বহিঃপ্রকাশ করলেন।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে রায়দান পর্ব শেষ হল ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ে ওই জমিতে মন্দির তৈরি করা যাবে। মসজিদের জন্য আলাদা ৫ একর জমির কথা বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায়দান পর্ব সমাপ্ত করলেন।