বুলবুল-এর দাপটে আজ সকাল থেকে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সঙ্গে মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা সর্বত্র বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি সার্ভিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আজ সন্ধ্যার পরই উপকূলে আছড়ে পড়বে বুলবুল। ৮ থেকে ১১টার মধ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে বুলবুল। শক্তি বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বুলবুল। ইতিমধ্যে কলকাতায় গাছ চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক যুবক। এবার বুলবুলের দাপটে টাকিতে ডুবতে বসেছে বিলাসবহুল ভাসমান হোটেল।
বুলবুলের প্রভাব পড়েছে টাকিতেও। ইছামতীর জল বেড়ে যাওয়াতে সুসজ্জিত ভাসমান হোটেলটি জলে তলিয়ে যেতে বসেছে। ২০১৬ সালের ৬০ লক্ষ টাকা করে টাকি পুরসভার উদ্যোগে এই ভাসমান হোটেলটি তৈরি হয়। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই পুরসভার তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকাল থেকে টানা বৃষ্টির ফলে সেই হোটেলটি আজ তলিয়ে যাচ্ছে ইছামতীর গর্ভে।
বঙ্গোপসাগরের উপকূল থেকে এই মুহূর্তে মাত্র ১১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সাইক্লোন বুলবুল। ইতিমধ্যে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাইক্লোন যেভাবে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে তত বৃষ্টির পরিমাণও বাড়বে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে রাতের দিকেই বাংলার উপকূলে সাইক্লোন বুলবুল আছড়ে পড়বে বলে ইতিমধ্যে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সাগরদ্বীপ, সুন্দরবনে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে বুলবুলের।