গত শনিবার তিস হাজারি আদালত চত্বরে পুলিশকর্মী ও আইনজীবীদের সংঘর্ষের সময় রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরায় একটি ছবি ধরা পড়েছে। যেখানে দেখা গেছে, পিছুধাওয়া করে এক পুলিশ আধিকারিককে ঘিরে ধরেছেন এক দল আইনজীবী। তাঁকে বাঁচানোর জন্য ছুটে আসছেনআরও কয়েক জন পুলিশকর্মী। তারপর কোনও রকমে আইনজীবীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয় ওই আধিকারিককে। আইনজীবীদের হাতে ঘেরাও হওয়া ওই আধিকারিক দিল্লীর ডিসিপি (নর্থ ডিস্ট্রিক্ট) মনিকা ভরদ্বাজ।
এই ঘটনার পর তিনি অভিযোগ করেছেন, সে দিন ওই আইনজীবীরা তাঁকে নিগ্রহ করেছেন। সেই সঙ্গে খোয়া গিয়েছে তাঁর অধঃস্তন এক পুলিশকর্মীর সার্ভিস রিভলভার। ডিসিপি-র অভিযোগ, সে দিন ওই রিভলভার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেটির খোঁজ মেলেনি।
দিল্লী পুলিশের মুখপাত্র অনিল মিত্তল জানিয়েছেন, সে দিনের ঘটনায় মনিকা ভরদ্বাজের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের করা হবে। ওই সিসিটিভি ফুটেজ ছাড়াও ঘটনার দিন দু’জন পুলিশকর্মীর কথোপকথনের রেকর্ডিংও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও ছাড়াও সে দিন দুই পুলিশকর্মীর কথোপকথনের শোনা গিয়েছে একটি অডিয়ো রেকর্ডিংয়ে। তাতে শোনা গিয়েছে, মনিকা ভরদ্বাজের নিগৃহীত হওয়ার কথা বলছেন দুই পুলিশকর্মী। তাঁকে রক্ষা করার সময়ই সার্ভিস রিভলভার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন একজন। এছাড়াও, ঘটনার সময় এক পুলিশকর্মীর মাথায়, কাঁধে, কব্জিতে এবং হাতের আঙুলে চোট পাওয়ার কথা বলতে শোনা গিয়েছে।
দিল্লী পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, মনিকা ভরদ্বাজের সিসিটিভি ফুটেজ ছাড়াও তিসহাজারি আদালত চত্বরের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিয়ো খতিয়ে দেখবে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। এর পর সে দিনের ঘটনার যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।