প্রথম মোদী সরকারের আমল থেকেই নানাভাবে বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে বাংলা। মোদীর দ্বিতীয় ইনিংসেও বজায় রয়েছে সেই ধারা। গতকালই জানা গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবার থেকে ইংরাজি ও হিন্দীর পাশাপাশি হবে গুজরাতিতেও। যেখানে এ রাজ্য থেকেই মূলত বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থী থাকে, সেখানে বাংলা ভাষাকে ব্রাত্য করে গুজরাতি কেন? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন উঠেছে। আর এবার দেখা গেল, খোদ বাংলাতেই ব্রাত্য বাংলা! হ্যাঁ, সায়েন্স সিটিতে পঞ্চম ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের এক্সপো বিভাগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং রাজ্য তাদের বিজ্ঞান ভিত্তিক কার্যকলাপ প্রদর্শন করতে পারলেও জায়গা জুটল না এ রাজ্যের। যা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের রাজধানী শহর কলকাতার একাধিক কেন্দ্র-রাজ্য প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পঞ্চম ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসব, ২০১৯। মঙ্গলবার এর সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কলকাতায় অনুষ্ঠান হলেও দেখা যাচ্ছে, সায়েন্স সিটিতে অনুষ্ঠানের এক্সপো বিভাগে বিজ্ঞান ভিত্তিক কার্যকলাপ প্রদর্শনের জন্য আসাম, গুজরাতের মতো রাজ্যের জন্য বৃহৎ জায়গা জুড়ে স্টল তৈরি করা হলেও, রাজ্যের জন্য সেই পরিমাণ জায়গা জুটল না। যেখানে এর আগে চেন্নাই এবং লখনউতে বিজ্ঞান উৎসব অনুষ্ঠানের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্টলগুলি। সেখানে কলকাতার সায়েন্স সিটিতে হল নং-৩’এর এক কোণে রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের স্থান হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর সূত্রের দাবি, এ’রাজ্যে বিজ্ঞান উৎসব অনুষ্ঠিত হলেও, রাজ্যের আধিকারিক-দফতর কোনও পক্ষকেই সঠিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর স্টল দেওয়ার বিষয়েও তাদের কাছে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি। উৎসব উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে যা জায়গা দেওয়া হয়েছে, সেখানেই স্টল দেওয়া হয়েছে। উল্টোদিকে, উদ্যোক্তাদের একজনের সাফাই, কেন্দ্র নিজস্ব উদ্যোগেই অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেছে। স্টল তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্যের তরফ থেকে পছন্দ হিসেবে স্থান বা মাপ নিয়ে কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়নি। ফলে উদ্যোক্তারা নিজেদের মতোই স্টল দিয়েছে। যদিও এমন দাবির পর এই সম্ভাবনা মোটেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না যে, কেন্দ্র যেহেতু নিজের উদ্যোগে সবটা করেছে, তাই রাজ্যের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে ইচ্ছাকৃত ভাবেই তাদের ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে।