হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি চালানোর ঘটনায় কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তিনি সাফ জানালেন, তাঁর ফোনও ট্যাপ করা হচ্ছে। আর এ সবই হচ্ছে কেন্দ্রের নির্দেশে।
এদিন ছটপুজো উপলক্ষ্যে খিদিরপুর এলাকায় তক্তাঘাটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বক্তব্য পেশ করার পর তিনি যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন তখন উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁকে সাম্প্রতিক হোয়াটসঅ্যাপের এই নজরদারির ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। তার উত্তরে মমতা বলেন, ‘এটা খুবই চিন্তার বিষয়। আমার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। আমি সেটা বুঝতেও পারছি। সব কিছুতেই নজরদারি চালানো হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। সরকারি কাজকর্ম করতে ব্যাঘাত ঘটছে’।
তারপরেই এই বিষয়ে মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন মুখ্যমনন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘এটা ফ্যাক্ট যে ইজরায়েলের এনএসও সংস্থা ফোন ট্যাপ করার ওই সফটওয়্যার কেন্দ্রকে দিয়েছে। এর সঙ্গে দুটি রাজ্যের সরকারও যুক্ত আছে। আমি তাদের নাম বলব না। কিন্তু তারমধ্যে একটি রাজ্যে বিজেপি সরকার রয়েছে। এই ট্যাপ করার জন্য একটি বিশেষ গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই গাড়ির মধ্যে ওই সফটওয়্যার রয়েছে। গাড়ি যেখানে যাচ্ছে সেখানকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যে কারও ইচ্ছে ফোন ট্যাপ করা কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে তথ্য নিয়ে নিচ্ছে’।
শুধুমাত্র তাঁর নয়, রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, আমলা, আইএএস, আইপিএস অফিসার, সাংবাদিক এমনকি বিচারপতিদের ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপেও আড়ি পাতা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। মমতা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি এই ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে। যদি কোনওভাবেই এই সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আমরা আদালতে যাব। এই অবস্থা জরুরি অবস্থার থেকেও খারাপ। জরুরি অবস্থাতেও এসব হয়নি’।