বহুবছর ধরে পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছেম কুলভূষণ যাদব। মাঝে বেশ কয়েকবার তাঁকে ভারতের হাতে সমর্পণের কথা উঠলেও, তা সফল হয়নি। এবার কুলভূষণ মামলায় নতুন রিপোর্ট দিলো বিশ্ব আদালত। জানা গেছে, কুলভূষণ যাদবের মামলায় ভিয়েনা চুক্তির আওতায় দায়বদ্ধতা লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত বা আইসিজির সভাপতি ও বিচারপতি আবদুলকাই ইউসুফ একথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সমাবেশে। বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সমাবেশে ১৯৩ সদস্যের সামনে রিপোর্ট পেশ করেন তিনি। তিনি জানান, ১৭ জুলাই রায়ের পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান বিচারকারী মাধ্যম জানতে পেরেছে পাকিস্তান ভিয়েনা চুক্তির ৩৬ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করেছে।
কয়েক মাস আগে আইজিসি নির্দেশ দিয়েছিল, পাকিস্তানকে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে পাক সেনা এক গোপন বিচারে প্রাক্তন বায়ুসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। ভারত শুরু থেকেই বলে এসেছে কুলভূষণকে ইরান থেকে অপহরণ করা হয়েছে। সেখানে তিনি ব্যবসার সূত্রে গিয়েছিলেন। বিচারপতি আবদুলকাই ইউসুফের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড রদ করে পুনর্বিচার করা উচিত পাকিস্তানের।
রাষ্ট্রসঙ্ঘকে বিচারপতি ইউসুফ জানিয়েছেন, কনস্যুলার অ্যাকসেস না দিয়ে পাকিস্তান ভিয়েনা চুক্তির ৩৬ নম্বর ধারাকে ভঙ্গ করেছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের আদালতকে। ইউসুফ রাষ্ট্রসঙ্ঘে এই প্রশ্নও তুলেছেন যে, কনস্যুলার অ্যাক্সেস নিয়ে দুই দেশের কোনও চুক্তি হয়েছিল কিনা ২০০৮ চুক্তি ছাড়া। দেখা যাচ্ছে, তেমন কিছু হয়নি। আদালত জানিয়েছে, ভিয়েনা চুক্তির ৩৬ নম্বর ধারা এই মামলায় পূর্ণ ভাবেই প্রযোজ্য হওয়ার কথা। আদালত এও লক্ষ করেছে, কুলভূষণকে গ্রেফতার করার তিন সপ্তাহ পরে সে সম্পর্কে জানিয়েছে পাকিস্তান। অথচ চুক্তি অনুযায়ী, বিলম্ব না করে দ্রুত এবিষয়ে ভারতকে তাদের অবগত করার কথা। সবমিলিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই রিপোর্টে ফের চাপে পড়ল পাকিস্তানের ইমরান সরকার।