মানুষের নজরদারি থেকে বাঁচতে গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল চোলাই। সেই পুরো চোলাই সাবাড় করে দিল হাতির পাল। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল এলাকায়। এ দিন হাতির তান্ডবে ভেঙেছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের দু’টি মাটির বাড়িও। বেশ কয়েক লিটার চোলাই ও চোলাই তৈরির সামগ্রী হাতির পেটে গিয়েছে বলে খবর।
আবগারির দফতরের নিয়মিত অভিযানের ফলে চোলাই মদের কারবারিরা বাড়িতে মদ তৈরির উপকরণ না রেখে গুড়গুড়িপাল গ্রামের জঙ্গলে রেখেছিল। সেখানে হাজির হয় হাতির পাল। প্রায় ২০০ লিটার মদ তৈরির উপকরণ ছিল।
দু’ঘণ্টায় তার পুরোটাই খেয়ে ফেলে হাতির পাল। মত্ত হয়ে পড়ে দলের সর্দার দাঁতালটি। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়ে হাতির পাল। প্রথমে লাগোয়া মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুচিবেড়িয়া এলাকায় পৌঁছয় হাতিগুলি। সেখানে মত্ত দাঁতালটি অসীম নায়েক ও তুলসী নায়েকের দু’টি বাড়ি ভেঙে ফেলে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যাপক ধান জমি। যদিও বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বেশ কয়েক দিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের নোনাশোল, কলসিভাঙ্গা, পিড়াকাটা, চাঁদড়া এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক হাতির পাল। তার মধ্যে দু’টি দল আকারে বেশ বড়। পিড়াকাটার জয়নারায়ণপুর থেকে হাতির দলটি ফিরে এসেছে চাঁদড়া রেঞ্জের গুড়গুড়িপাল বিট এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধের পর হাতির পালটি ঢুকে পড়ে গুড়গুড়িপালে।
অন্যদিকে, মুচিবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নয়াগ্রামের হুলা পার্টির লোকজন হাতিগুলিকে ইচ্ছে করে ওই এলাকায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। সূত্রের খবর, বাড়ি ভাঙার পরই গ্রামবাসীরা লাঠি নিয়ে তাড়া করে হুলা পার্টির লোকজনদের।