রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক তিনি। মাঝে মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তরতরিয়ে খবরের শিরোনামেও উঠে এসেছেন। আবার বিজেপির বাকি নেতাদের মতো ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতাতেও অগাধ আস্থা তাঁর। এহেন কৈলাস বিজয়বর্গীর মনে বড় সাধ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার। শুধু সাধ বললে ভুল হবে, মুখ্যমন্ত্রিত্বের জন্য রীতিমতো ঝোঁক চেপে গিয়েছে তাঁর মাথায়। পরিস্থিতি এমনই যে বাড়িতে মহিলা সেজে তন্ত্রসাধনাও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এমনই দাবি মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের।
সে জন্যই আজকাল নাকি নিজের বাড়িতে শাড়ি পরে মাথায় পরচুলা লাগিয়ে মহিলা সেজে ঘুরে বেড়ান বিজেপির দাপুটে নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ঘরের ভিতর লোকচক্ষুর আড়ালে জোরকদমে চলছে তন্ত্রসাধনার কাজ। এমনটাই জানা গেল কংগ্রেস সূত্রে। তবে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, এইসব করে লাভ বিশেষ হবে না। আগামী ৫ বছর কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই মধ্যপ্রদেশে সরকার চালাবে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের শেষে বিজেপিকে টক্কর দিয়ে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস জিতলেও হারের ব্যবধান খুব বেশি ছিল না বিজেপির। তাই গেরুয়া শিবিরের এখন লক্ষ্য কর্ণাটকের ধাঁচে মধ্যপ্রদেশের সরকার ফেলা। যার জন্যই তন্ত্রসাধনার পথে নেমেছেন কৈলাস।
মধ্যপ্রদেশের দাপুটে কংগ্রেস নেতার কৃপাশঙ্কর শুক্লার দাবি, ‘কৈলাস বিজয়বর্গীয় এখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং হওয়ার চেষ্টা করছেন। আর সেই কারণেই এই তন্ত্রসাধনা’। ওই কংগ্রেস নেতাই দাবি করেন, ‘রাতে শুতে যাওয়ার আগে মহিলাদের শাড়ি ও চুল পরে এই কাণ্ডটি করে চলেছেন তিনি।’ তবে কৈলাসের বিরুদ্ধে এহেন গুরুতর অভিযোগ তোলার পরও বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।