মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে জিয়াগঞ্জে সপরিবার শিক্ষক হত্যালীলার ঘটনায় বিজেপির দাবি ওড়াল নিহত বন্ধুপ্রকাশ পালের পরিবার। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এমনকী পুলিশের তদন্তেও তাঁরা আশ্বস্ত বলে জানিয়েছেন। বন্ধুপ্রকাশের মাসতুতো ভাই রাজেশ ঘোষ এবং শ্যালক দীপ্তিমান সরকারের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় তাঁদের সমব্যথী এবং সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন নিহত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা। মোট সাতজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন দেখা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন।
জিয়াগঞ্জে শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের সপরিবার হত্যাকাণ্ডের পরেই আসরে নেমেছিল সঙ্ঘ পরিবার। বিতর্কও ঘনীভূত হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের ভিতরে। বিজেপি একে রাজনৈতিক হত্যা বললেও আরএসএসের বয়ান ছিল অন্য রকম। খাস কলকাতার রাস্তায় পোস্টার পড়েছিল জিহাদিদের হাতে আরএসএস সমর্থক শিক্ষকের হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে। কিন্তু গত মঙ্গলবার এক জনকে গ্রেফতার করে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তাতে স্পষ্ট, ওই ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কোনও যোগ নেই। এমনকি, ঘটনায় রাজনৈতিক আক্রোশও পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার সে কথাই ফের একবার প্রমাণিত হল।
ঘরের মধ্যে স্বামী, স্ত্রী, সন্তানের গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ। দশমীর সকালে এমন দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিলেন পড়শিরা। ঘটনাটির মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের। মৃতরা হলেন ৩৩ বছর বয়সি বন্ধুপ্রকাশ পাল, স্ত্রী ২৮ বছর বয়সি বিউটি পাল ও ৬ বছরের ছেলে আর্য পাল। জিয়াগঞ্জের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের লেবুবাগানের ঘটনা।