মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে খোলনলচে বদলে গিয়েছে বাংলার শিল্পক্ষেত্র। তৃণমূল জমানায় রাজ্যে যেমন গড়ে উঠেছে নতুন নতুন শিল্পতালুক। তেমনই লগ্নীর জোয়ার এসেছে। পুজো মিটতেই রাজ্যের জন্য আবারও সুখবর। শালবনীর প্রস্তাবিত জমিতে রঙের কারখানা গড়বে জিন্দাল গোষ্ঠী। তবে, নতুন কারখানায় কত টাকা তারা বিনিয়োগ করবে, কিংবা এই কারখানা তৈরি হলে কতজনের চাকরি হবে, সেবিষয়ে সংস্থার কর্মকর্তারা এখনই কিছু বলতে চাইছেন না। জানা গেছে, পুরোটাই সারপ্রাইজ রাখতে চাইছেন সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরা।
প্রসঙ্গত, এমনিতেই শালবনীর ওই প্রস্তাবিত জমিতে কয়েক বছর ধরে সিমেন্ট কারখানা চালাচ্ছে জিন্দালদের। সেখানে নিয়মিত উৎপাদনও হচ্ছে। সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, সিমেন্ট কারখানায় হাজার খানেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সেখানে বছরে ২.৪ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদন হয়। কর্মকর্তাদের দাবি, বাজারে তাদের উৎপাদিত সিমেন্টের ভালো চাহিদা রয়েছে। ফলে, আগামী দিনে তারা সিমেন্ট উৎপাদন বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার পথে হাঁটছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দিনে এই কারখানা থেকে তারা বছরে ৫ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদন করবে।
শুধু তাই নয়। ইতিমধ্যেই উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। উৎপাদন দ্বিগুণ করা হলে তাতেও কর্মসংস্থান হবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে পাশাপাশি বাকি প্রস্তাবিত জমি তারা যে ফেলে রাখতে চাইছে না, তার বার্তা দিতেই এবার রঙের কারখানা তৈরির দিকে এগচ্ছে সংস্থা। কর্মসংস্থান কত হবে, তা না জানা গেলেও এই কারখানা হলে যে বেকারত্ব দূরীকরণে আবারও এগিয়ে থাকবে বাংলা, তা বলাই বাহুল্য।