সাত সকালেই কলকাতার আকাশে যুদ্ধ। এক যুদ্ধবিমান তাড়া করছে আর এক যুদ্ধবিমানকে। তাও আবার একেবারে ব্যস্ত সময়। যুদ্ধবিমানগুলি উড়ল দমদম বিমানবন্দর থেকে। আসলে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে কলকাতা, তারই মহড়া চলল এদিন।
এ রাজ্যে সামরিক বিমানঘাঁটি রয়েছে ব্যারাকপুর, হাসিমারা, কলাইকুণ্ডা, পানাগড়ে। কিন্তু পরিচিত বলেই যে কোনও সময় শত্রুপক্ষ বিমানহানা চালাতে পারে এই বিমানঘাঁটিগুলিতে। সে ক্ষেত্রে পাল্টা হামলা চালাতে নতুন রণকৌশল তৈরি করছে বায়ুসেনা। আর তাই ভারতীয় বিমানবাহিনীর ইস্টার্ন এয়ার কম্যান্ড বেছে নিয়েছে ছ’টি অসামরিক বিমানঘাঁটি। এ রাজ্যের কলকাতা এবং অন্ডাল, অসমের গুয়াহাটি, অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাট, নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর এবং মণিপুরের ইম্ফল।
বুধবারই কলকাতায় তিনটি যুদ্ধবিমান আনা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে দমদম এয়ারপোর্ট থেকে ওড়ে বিমানগুলি। ঠিক যে সময়ে অন্যান্য বিমান ওড়ে এই বিমানবন্দর থেকে, তখনই এই মহড়া চালানো হয়। যে কোনও পরিস্থিতিতে শত্রুদের মোকাবিলা কতটা করা সম্ভব, সেটা দেখতেই এই মহড়া চলে।
এয়ার ফোর্সের ‘ইস্টার্ন এয়ার কমান্ড’ এই মহড়া চালাচ্ছে একাধিক অঞ্চলে। মূলত জঙ্গি হামলা হলে ব্যস্ত এয়ারফিল্ড থেকে কীভাবে অপারেশন চালানো হবে, সেটাই ঝালিয়ে নেওয়া হচ্ছে এই মহড়ায়। সাধারণ মানুষকে কীভাবে সাহায্য করবে বায়ুসেনা, সেটাও পরখ করে দেখা হবে। কলকাতা থেকে যুদ্ধবিমান ওঠানামা এই প্রথম নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রেড রোড থেকে নিয়মিত উড়ত মিত্রশক্তির যুদ্ধবিমান।