প্রিয় সাউথ পয়েন্টের বন্ধুগণ, প্রেসিডেন্সি কলেজের বন্ধুরা, জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতরা ও আপামর বাঙালি। উদযাপন করুন। এটা বাংলার বিশ্বজয়ের সপ্তাহ চলছে।
সাউথ পয়েন্টের বন্ধুদের আহ্লাদে আটশোখানা হওয়া উচিৎ কারণ প্রথম পয়েন্টার যে নোবেল পুরস্কার পেলো।
আপনি, আপনারা হয়তো কেউ কেউ প্লেন ধরে নিয়েছেন, বা নেবেন বা থেকে যাবেন পুজো শেষে। আপনারা বেশীরভাগ কলকাতার বাইরে চলে যাবেন এবার। একটি জরুরি বড় জরুরি কথা জানানোর জন্য এই পোস্ট।
অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় এবারে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। উনি আপনাদের মতোই বাইরে থাকেন কিন্তু মনে প্রাণে বাঙালি, বাংলায় জন্ম, সাউথ পয়েন্টে পড়াশোনা, তারপর প্রেসিডেন্সি, জেএনইউ। হ্যাঁ রাষ্ট্রদ্রোহী জেএনইউ।
খুব জরুরি সময় ইনি নোবেলবিজয়ী। যে সময় দেশত্ববোধের পাঠ পড়াতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে কামান রাখার প্রস্তাব দেয় কেউ কেউ, যখন গোটা বিশ্ববিদ্যালয়টাই বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে কোন বীর, সে সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী পেল নোবেল।
এই পোস্টটি সেই সমস্ত বাঙালির ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, যুদ্ধের ঘুটি সাজানোর জন্য। নেক্সট টাইম কোন গো-সন্তান দেশ, দুনিয়া বা জাতীয় অবদান নিয়ে আপনাকে জ্ঞান দিতে এলে তাঁদের বলাটা প্রয়োজনীয় যে ভারতের প্রথম নোবেল রবীন্দ্রনাথ আনে, অর্থনীতিতে প্রথম নোবেল আনে অমর্ত্য সেন, সে ও বাঙালি আর এখন অভিজিৎ। এছাড়া মাদার টেরেসা ও রোনাল্ড রস ও বাংলা থেকেই নোবেল পান।
বারবার নোবেল এনে দেবে বাঙালি, অস্কার আনবে বাঙালি, বিসিসিআই চালাবে বাঙালি, বলিউড রাজ করবে বাঙালি, নাসার বিজ্ঞানী হবে বাঙালি, জনগনমন লিখবে, বন্দেমাতরম লিখবে বাঙালি, ভারতমাতার ছবি আঁকবে বাঙালি, গোটা দেশে দক্ষ হাতে বড় বড় কোম্পানি চালাবে বাঙালি আর সেই বাঙালিকে ডিটেনশন ক্যাম্পের জুজু দেখাবে গরুর বাচ্চা, তার পছন্দের মাছ মাংস খেলে লালচোখ দেখাবে ধোকলামাফিয়া আর রাজমাজীরা,ওসব চলবে না।
নিজের কলকাতা, নিজের বাংলা নিয়ে গর্ব করতে শিখুন। কোন মগনলাল মেঘরাজ কি বললো তাতে আমাদের ঘাবড়ে গেলে চলবে? হাতটা শক্ত করে ধরতে শিখুন। বাঙালি জেগে উঠলে কিন্তু ভিসুভিয়াস ও আঁতকে ওঠে। ভরসা রাখুন নিজের ঐতিহ্যে, নিজের ভাষায়, নিজের সংস্কৃতিতে।
কারণ বাঙালি সব পারে। বোরোলিন, মাংকি ক্যাপ, জেলুসিল আর তালমিছরি পেলে বাঙালি সব করতে পারে। জয় বাংলা!
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত