ফের অর্থনীতিতে নোবেল এবং ফের সেই বাঙালিই। আজ সারা বিশ্বের বাঙালিকে গর্বিত করে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নিজের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিনটিতে বিশ্ববিখ্যাত এই অর্থনীতিবিদের মনে পড়ছে নিজের ছেলেবেলার কথা, এই বাংলার কথা। নোবেল পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আমি একাধিকবার নানাভাবে গবেষণা করেছি। আমাদের কাজে অন্যভাবেও চিন্তা করতে তো হয়, সেখানে আমার ছোটবেলা-বড় হয়ে ওঠা নানাভাবে সাহায্য করেছে।’
তবে যে কাজে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিযুক্ত থাকায় আজকের এই সাফল্য, সেই বিশ্বব্যাপি দারিদ্র্য দূরীকরণের বিষয়ে বলতে গিয়ে কঠিন বাস্তবের কথাই তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘একজায়গায় বসে বোতাম টিপে বিশ্ব দারিদ্র্য দূর করা যায় না। ফ্রি মার্কেট করে দিলেই সব ভালো হয়ে যাবে বলে যে ধারণা চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তা আসলে সঠিক নয়। একটা একটা ক্ষেত্র ধরতে হবে, সমাধান করতে হবে।’ আর এবিষয়ে তিনি যে আশাবাদী, তা জানাতেও ভোলেননি তিনি।
তবে, নোবেল পেয়েও দারুন উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে নারাজ তিনি। এদিন নোবেল পাওয়ার খবর পাওয়ার পরই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘ফোন আসছে, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সকলে। আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। তবে ছোটবেলা বারবার আমাকে সাহায্য করেছে। ছোটবেলা অনেক রসদ দিয়েছে।’
প্রেসিডেন্সি কলেজেই পড়াশোনা অভিজিতের। আরও এক নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের ছাত্র ছিলেন তিনি। অমর্ত্য সেন যে তাঁকে নানাভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, সেকথাও বলতে ভোলেননি অভিজিৎ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্সির জন্য যে মেন্টর গ্রুপ তৈরি করেছিলেন, সেই গ্রুপের সদস্য ছিলেন অভিজিত্। দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অভিজিৎকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি কলকাতায় থাকা তাঁর মায়ের জন্যে মিষ্টি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।