সারা দেশে অর্থনৈতিক মন্দার বাজার। গাড়ি বাজারে নেমেছে বিরাট ধ্বস। জিডিপির নিরিখে বিশ্ববাজারেও পিছিয়ে পড়েছে ভারত। প্রায় দিন শেয়ারের বাজারের সূচক নিম্নগামী। দেশের শেয়ার বাজারের ক্রমশ পতন, ভারি-মাঝারি থেকে হালকা শিল্পে মন্দা। উৎপাদন কমে গিয়েছে। তারফলে আর্থিক বৃদ্ধির হারে ভারতকে ছাপিয়ে যাচ্ছে নেপাল ও বাংলাদেশ, রিপোর্ট বিশ্বব্যাঙ্কের।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে মন্দার ছাপ কতটা পড়তে পারে তা নিয়ে সম্প্রতি এক রিপোর্ট পেশ করেছে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক। গত শনিবার প্রকাশিত এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মন্দার জেরে চলতি অর্থবর্ষে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমবে। তবে বিশ্বব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধিকে এবার ছাপিয়ে যাবে বাংলাদেশ ও নেপাল। যেখানে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ নামিয়ে আনা হয়েছে, বাংলাদেশের বৃদ্ধির হার ৮.১ শতাংশ হবে বলে জানাচ্ছে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক। এছাড়া, নেপালের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৫ শতাংশ।
ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, ২০১৯ আর্থিক বছরে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৫.৯ শতাংশ, যা চলতি বছরে এপ্রিলের পূর্বাভাসের চেয়ে ১.১ শতাংশ কম। আর ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ভারতের বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের আশেপাশে থাকছে বলে জানাচ্ছে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের রিপোর্ট। পরবর্তীতে পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। ২০২২ সালে তা ৭.২ শতাংশে পৌঁছতে পারে বলে রিপোর্টে প্রকাশ। তুলনায় বাংলাদেশ ও নেপালের বৃদ্ধির হার অনেক ভালো বলেই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে প্রকাশ। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, চলতি অর্থবর্ষে বাংলাদেশের জিডিপি হবে ৮.১ শতাংশ। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৯ শতাংশ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশের আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে ৭.২ শতাংশ এবং ২০২১ সালে হবে ৭.৩ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মুখ্য অর্থনীতিবিদ হান্স টিমারের কথায়, সাধারণভাবে দেখলে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশ ভালো জায়গায় রয়েছে বাংলাদেশে।