দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। প্রোটিয়াদের ইনিংস ও ১৩৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ পকেটে পুরে ফেলল বিরাট বাহিনী। ফলে তৃতীয় তথা শেষ টেস্টের গুরুত্ব অনেকটাই কমে গেল। কিন্তু ক্যাপ্টেন কোহলির কথা শুনে মনে হচ্ছে, আত্মতুষ্টি যেন কোনওভাবেই দলের মনোবলে থাবা বসাতে না পারে।
কোহলি কথায়, ‘এটা শুধু সিরিজ জয়ের নিরিখে দেখলে হবে না। আমরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলছি। প্রত্যেকটা ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। তাই হোম কিংবা অ্যাওয়ে, সব খেলালেই সমান প্রাধান্য দিতে হবে। আমরা যেভাবে সাফল্য পাচ্ছি, সেটাকে ধরে রাখতে পারে। তাই তৃতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হালকাভাবে নিলে চলবে না। পরের ম্যাচটাও জেতার পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামতে হবে। ২-০ ব্যবধানে নয়, সিরিজ জিততে হবে ৩-০ ব্যবধানে। হোয়াইট-ওয়াশ করার সুযোগ আমরা সহজে হাতছাড়া করব না। আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। সিরিজ জেতা হয়ে গিয়েছে বলে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, তৃতীয় টেস্টেও ফয়সলা হবে। সিরিজ আমরা ৩-০ ব্যবধানেই জেতার চেষ্টা করব।’
পাশাপাশি সুপারম্যান ঋদ্ধিমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্যাপ্টেন কোহলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ঋদ্ধিমানের জায়গায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ঋষভ পন্থের উপর আস্থা দেখিয়েছিল। তবে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ঋদ্ধিকেই বেছে নিয়েছিলেন কোহলি। তার কারণ হিসাবে বিরাট বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে ঋদ্ধি বিশ্বের সেরা উইকেটরক্ষক।’ পুনে টেস্টে বাংলার উইকেটরক্ষক দক্ষতার নিপুণ ছাপ ফুটিয়ে তুলেছেন। উইকেটের পিছনে তাঁর দুরন্ত পারফরম্যান্সের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।
কোহলি বলেছেন, ‘বিশাখাপত্তনম টেস্টে ঋদ্ধি একটু নার্ভাস ছিল। কারণ, চোট সারিয়ে ফিরে ওটাই ছিল ওর প্রথম ম্যাচ। কিন্তু একটা ম্যাচ খেলার পরেই ঋদ্ধি কিন্তু আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে। তার প্রতিফলন ঘটল এই ম্যাচে। দুরন্ত সব ক্যাচ ধরেছে। আমি আগেও বলেছি, এই মুহূর্তে ওর মতো দক্ষ উইকেটকিপার ভারতে কেন, বিশ্বেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটকিপারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেটা আরও একবার প্রমাণ হল। ঋদ্ধির এই সাফল্য আগামী দিনে ওকে আরও ভালো খেলতে রসদ জোগাবে। শুধু ঋদ্ধি নয়, দারুণ কামব্যাক করেছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। দেশের মাটিতে অশ্বিন-জাদেজা স্পিন জুটি আমাদের প্রথম পছন্দ। সেই কারণেই, কুলদীপকে খেলানো হচ্ছে। সেটা ওকে আমরা বলেওছি। তবে অশ্বিন ও জাদেজাকে খেলানোর বাড়তি সুবিধা হল, ওরা ব্যাটও করতে পারে। আমরা যখন শুরু করেছিলাম, তখন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বরে ছিলাম। তখন উপরের দিকে উঠে আসাই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। গত তিন-চার বছর ধরে এক সঙ্গে আমরা খেলছি। ভালো পারফর্ম করে র্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষ স্থান অর্জন করেছি। এই সাফল্য ধরে রাখাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’