আপাতত অ্যারে কলোনিতে কাটা যাবে না আর একটি গাছও। সোমবার এমন নির্দেশই দিল দেশের শীর্ষ আদালত। আজ সোমবার এই নিয়ে শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে। পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত যাতে কোনওরকম আর গাছ কাটা না হয়, সে ব্যাপারে মহারাষ্ট্র সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। আগামী ২১ অক্টোবর এ মামলার পরবর্তী শুনানি।
মুম্বইয়ের অ্যারে এলাকায় মিঠি নদীর ধারে বিশাল বনাঞ্চলে রয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ গাছপালা। ১২৮০ হেক্টর আয়তনের এই এলাকা বাণিজ্যনগরীর ফুসফুস বলে পরিচিত। এই এলাকাতেই মেট্রো রেলের কারশেড তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। তার জন্য ২ হাজার ৬৪৬টি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। তার প্রতিবাদেই লাগাতার প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নেমেছেন সমাজকর্মী ও পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ।
রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভের পাশাপাশি আইনি লড়াইয়েও নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। গাছ কাটা বন্ধের আর্জি জানানোর সঙ্গেই অ্যারে কলোনির ওই এলাকাকে ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল’ ঘোষণার দাবি জানায় কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সমাজকর্মীরা। কিন্তু শুক্রবার তাঁদের আর্জি খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রদীপ নন্দরাজোগের ডিভিশন বেঞ্চ।
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হন আন্দোলনকারীরা। জনৈক আইনের পড়ুয়া ঋষভ রঞ্জন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি দিয়ে গাছ কাটা বন্ধের আর্জি জানান। তাঁর আবেদন, ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫০০ গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সব আইনি পদ্ধতি মেনে মামলা শুরুর আগেই সব গাছ কাটা হয়ে যাবে। তখন আর কিছু করার থাকবে না।
চিঠিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানান ঋষভ। ওই চিঠির ভিত্তিতেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আজ সেই মামলার প্রাথমিক শুনানির পরই ২১ অক্টোবর পর্যন্ত গাছ কাটায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।