শহরের সেরা দশ পুজোর মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ কলকাতার চেতলা অগ্রণী। এবছর ২৭ তম বর্ষে তাদের থিম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘কলিকাতা চলিয়াছে নড়িতে নড়িতে’। শিল্পী অনির্বাণ দাসের ভাবনা ও শিল্পকলাই যেন সেই পথই দেখাচ্ছে মহানগরীকে। হাওড়া ব্রীজ থেকে শুরু করে ভিক্টোরিয়ার মত স্থাপত্য, রাজভবন থেকে বাঙালীর গড়ের মাঠ – মন্ডপে কলকাতার ঐতিহ্য, ইতিহাস, তার পথ চলা সবই এক সাথে তুলে ধরেছেন তিনি।
মূলত লেটারবক্স দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে গোটা মন্ডপ। এই লেটারবক্সগুলির মধ্যে ব্যোমকেশ বক্সি, ফেলুদাদের মতো ফিকশনাল চরিত্রদের ঠিকানা লেখা। আর পাইড পাইপারের গল্পে যেমন বাঁশিবাদকের বাঁশি শুনে শহরের সমস্ত ইঁদূর তার পিছু পিছু বেরিয়ে এসেছিল, এখানেও তেমনি থাকছে এক বেহালাবাদক। যার বেহালার সুরে অনেক কম্পিউটারের মাউস ওই লেটারবক্স থেকে বেরিয়ে বাইরে জমা হচ্ছে।
মূল মন্ডপের প্রবেশ পথে দুলছে একাধিক পেন্ডুলাম। সেই টাইমজোনটার মধ্যে দিয়ে ঢুকলেই দেখা মিলছে মনুমেন্ট, ভিক্টোরিয়া, হাওড়া ব্রীজ- সব মিলিয়ে কলকাতার একটা কোলাজ। এমনই এক নস্টালজিক কলকাতাকে দেখতে সকাল থেকে রাত- গোটা দিনই দর্শনার্থীরা হামলে পড়ছে চেতলা অগ্রণীতে।