মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতকে প্রকাশ্য মলত্যাগমুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য এবং পরিসংখ্যান তাঁর এই দাবির সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দাবি, ১.৯৬ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে গ্রামীণ ভারতে এ পর্যন্ত ১০ কোটি শৌচাগার তৈরি হয়েছে। সরকারি মতে, এর ফলে প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রচার ধাক্কা খেল গত সপ্তাহে, যখন প্রকাশ্যে মলত্যাগ করার জন্য মধ্যপ্রদেশের দুই দলিত কিশোরকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।
দেশজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্কট কাটাতে ২০১৪ সালে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই মহাপরিবর্তনসূচিতে শামিল করা হয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্তা থেকে জনসাধারণকেও। প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, দেশ থেকে প্রকাশ্যে মলত্যাগের অভ্যাস সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা।
২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সরকারি উদ্যোগে সারা দেশে শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু তার নিটফল কী? ২০১৮ সালের জাতীয় নমুনা সমীক্ষা দফতর দ্বারা পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তা সত্ত্বেও গ্রামীণ জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশ এখনও শৌচাগার ব্যবহার করে না এবং ৩৬ শতাংশ মানুষের কাছে শৌচাগারের সুবিধা পৌঁছয়নি। স্বভাবতই, সমীক্ষার ফলাফলে মোদী সরকারের দাবি নিয়ে জোরদার প্রশ্ন উঠেছে।