শারদীয়ার আনন্দে গা ভাসিয়েছে বাঙালি। তবে একেবারে বিপরীত ছবি ডুয়ার্সের মাল ব্লকে। কারণ, বৃহস্পতিবার মহাপঞ্চমীতেই বন্ধ হয়ে গেল সাইলি চা বাগান। তার জেরে কাজ হারালেন অন্তত ১৮০০ শ্রমিক। কীভাবে সংসার চলবে সেই চিন্তাই এখন রাতের ঘুম কেড়েছে তাঁদের।
গত কয়েকদিন ধরে বোনাস নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। শ্রমিকদের দাবি ছিল কলকাতায় অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮.৫০ শতাংশ হারে বোনাস দিতে হবে। অপরদিকে চা বাগান কর্তৃপক্ষ ১৩ শতাংশ হারে বোনাস দিতে প্রস্তাব দেয়। কয়েকদিন টানাপোড়েন চলার পর একাধিক বৈঠকে শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতারা ১৪ শতাংশ হারে বোনাস নিতে রাজি হয়। একথা ঘোষণা হওয়ার পর চা বাগানের কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। বুধবার চা বাগানের ম্যানেজারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান শ্রমিকরা। মহিলারাও তাতে অংশ নেন।বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে শ্রমিকরা দেখেন চা বাগানের গেটে তালা ঝুলছে।
ম্যানেজাররা ওয়ার্ক অফ সাসপেনশনের বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেন। তারপরই চা বাগান ছেড়ে চলে যান ম্যানেজাররা। আপাতত কর্মহীন অন্তত ১৮০০ শ্রমিক। কীভাবে সংসার চালাবেন তাঁরা, সেই চিন্তাই এখন রাতের ঘুম কেড়েছে সদ্য কর্মহীনদের। বাগানের শ্রমিক স্বপ্না প্রধান, বিজেতা কেরকাট্টা বলেন, ‘আগে বাগান খোলা হোক। তারপর বোনাস নিয়ে আলোচনা হবে। ম্যানেজার কেন রাতের অন্ধকারে বাগান ছেড়ে চলে গেলেন? আমরা চাই বাগান স্বাভাবিক হোক’।
চা বাগানের তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের নেতা হাবিব আনসারি বলেন, ‘একাধিক বৈঠকের পর ১৪ শতাংশ হারে বোনাসের কথা বলে বাগান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শ্রমিকরা ১৪ শতাংশ বোনাস নিতে রাজি নন। বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এরপর নিরাপত্তার অভাববোধ করে ম্যানেজার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাগান ছেড়ে চলে গেছেন’। এদিন সকালে চা বাগানে যান স্থানীয় তৃণমূল নেতা আগাষ্টুস কেরকাট্টা। তিনিও সদ্য কর্মহীন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন।