বর্ষা পার করলেও ভিনরাজ্যগুলিতে যেভাবে বৃষ্টি নেমেছে তাতে জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এই ব্যারেজগুলি। ডিভিসি জল ছাড়ায় ভেসেছে বাংলার একাধিক জেলা। পরিস্থিতির জেরে ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ, মালদার মতো জেলাগুলিতে। এহেন পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের একাধিক সরকারী কর্মী ও আধিকারিকের ছুটি বাতিল করল নবান্ন। বিশেষ করে ছুটি বাতিল করা হয়েছে জেলাস্তরের উচ্চপদস্ত সরকারী আধিকারিকদের।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে রীতিমতো ফুঁসতে শুরু করেছে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গের নদীগুলি। এর কারণ অতিবৃষ্টির পাশাপাশি ব্যারেজের জল ছাড়া। এদিকে রাজ্য সরকারের পুজোর ছুটি ২ অক্টোবর থেকে থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতে বিপদ ঘটতে কতক্ষণ। তাই সবদিক বিচার করে মুখ্যসচিবের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুর্গত এলাকাগুলির বিডিও থেকে জেলাশাসক পর্যায়ের অফিসাররা যেন পুজোতে ছুটি না নেন।
বুধবার নবান্নে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। সেখানে মুর্শিদাবাদ, মালদা সহ বন্যা কবলিত জেলার জেলা শাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করলেন তিনি। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট ৮ টি দফতরের সচিব ও আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বন্যা দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত খাওয়া জল থেকে শুরু করে ওষুধপত্র যাতে ঠিক সময় পৌঁছয় সেই নির্দেশও নবান্নের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বুধবার।