মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আট বছর পর বিচারে ত্রুটি স্বীকার করে নিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ওই আসামীর শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। শুধু আশপাশের প্রমাণের ওপর নির্ভর করে কাউকে প্রাণদণ্ড দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১০ মাসের শিশু-সহ চার সন্তান ও স্ত্রীকে খুনের দায়ের আট বছর আগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় মহারাষ্ট্রের নানদেদ জেলার বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আশপাশের প্রমাণ থাকলেও কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কাউকে প্রাণদণ্ড দেওয়া যায় না বলে জানিয়ে শাস্তি কমিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এনভি রামান, এমএম শান্তানাগাওদার এবং ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রথমে মৃত্যুদণ্ড দেয় বম্বে হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হলে হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। কিন্তু রায়দানের আট বছরেরও বেশি সময় ভুল স্বীকার করে নিল সুপ্রিম কোর্ট।