বন্যায় ভাসছে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে পাটনার যাদবকূলে দেখা দিয়েছে অশান্তির আগুন। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ঘরোয়া বিবাদ নতুন নয়। কিন্তু রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত যা চলল, তা একেবারেই নজিরবিহীন।
গতকাল বিকেল থেকেই বাড়ির উঠোনে একটি শেডের নীচে বসে ছিলেন লালুর বড় ছেলে তেজপ্রতাপের বউ ঐশ্বর্য রায়। সেখান থেকেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখানেই তিনি তাঁর উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুললেন শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তাঁর শাশুড়ি রাবড়ি দেবী, তেমনই রয়েছেন ননদ তথা আরজেডি-র রাজ্যসভার সাংসদ মিসা ভারতী।
লালুর পুত্রবধূর অভিযোগ, তাঁকে খেতে দেওয়া হয় না। রোজ নির্মম অত্যাচার চলে তাঁর উপর। সাংসদ ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনিই বিয়ে ভাঙতে চাইছেন। শাশুড়ির বিরুদ্ধে ঐশ্বর্য বলেছেন, “উনিই আমায় ঘর থেকে ছুড়ে বাইরে ফেলে দিয়েছেন।” যদিও মিসার বক্তব্য, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি পাটনার ওই বাড়িতে আলেকালে যান। তাঁকে অযথা এই অশান্তির মধ্যে জড়ানো হচ্ছে।
লালুপ্রসাদ তাঁর বাড়িতে যে শেডের নীচে সভা করতেন, অনেক রাত পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন ঐশ্বর্য। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের সামনেই এদিন তেজপ্রতাপের স্ত্রী বলেন, গত কয়েক মাস ধরে ননদের নির্দেশেই তাঁকে খেতে দেওয়া হচ্ছে না। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই সাংসারিক অশান্তি শুরু হয় তেজ-ঐশ্বর্যর। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও রুজু করেন লালু-পুত্র।