৭ দফায় বাংলায় শেষ হয়ে যাবে তৃণমূল। এই ছিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের হুঁশিয়ারি। কিন্তু মুকুলের সেই হুঁশিয়ারির পর সময় গড়িয়েছে কিন্তু দফা আর এগোয়নি। তৃণমূল ভাঙিয়ে মুকুল রায় যে কাউন্সিলরদের বিজেপিতে এনেছিলেন, তাঁদের অনেকেই দলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে পুরনো দলে ফিরে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে আবার নারদা কাণ্ডে বাড়ির দোরগোড়ায় সিবিআই হানা তো রয়েছেই। যার ফলে সবমিলিয়ে এই পুজোর মরশুমেও সময়টা বড্ড খারাপ যাচ্ছে মুকুলের।
প্রসঙ্গত, গতকালই নারদা কাণ্ডের তদন্তে মুকুলের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। যা নিয়ে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এর পাশাপাশি ভাঙন ধরেছে তাঁর নিজের হাতে গড়া সংগঠনেও। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছুই করে উঠতে পারছেন না তিনি। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পর যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তৃণমূল কর্মীদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার খবর উঠে আসছিল, সেখানে এবার তার ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। বিজেপিতে মন টিকছে না কর্মীদের। ফিরে আসতে চাইছেন তাঁরা পুরনো দলে।
এবার যেমন উত্তর ২৪ পরগণার কাঁচড়াপাড়া পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে। লোকসভা নির্বাচনের পর এই ওয়ার্ডের অনেক তৃণমূল কর্মী বিজেপিত চলে গিয়েছিলেন। মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন তাঁরা। এবার সেখান থেকেই উঠে আসছে শয়ে শয়ে বিজেপি কর্মীর তৃণমূলে পুনরায় যোগদানের খবর। যার ফলে বেজায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। অস্বস্তি বাড়ছে মুকুলেরও।