আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা। সমস্ত জায়গায় চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। তবে পুজোর খুশির আকাশে মেঘ থেকেই গেছে। পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা উড়িয়ে তো দেওয়া যাচ্ছেই না, উলটে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন আজ ঘনীভূত হতে পারে নিম্নচাপ। সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। এবং পুজোর চার দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তাই পুজোর খুশির সামনে যে ভিলেন বর্ষাই তা বলাই বাহুল্য।
অব্যাহত বৃষ্টির ভ্রুকূটি। সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ বীরভূম ও পশ্চিমের জেলায় শনিবার কয়েক পশলা বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামিকাল থেকে নদিয়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, পুজোয় মেঘলা আকাশ, হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে কলকাতা ও তার শহরতলিতে। তবে, পুজোর ক’টা দিন ঝলমলে আকাশ থাকবে কিনা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নন আবহবিদরা। পুজোয় বৃষ্টি অসুর হয়ে উঠতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এ বারে ঘোড়ায় আগমন দুর্গার। কিন্তু প্রকৃতির মতিগতিতে সে লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আলিপুর, কোচবিহার, জলপাই দুই দিনাজপুরের আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি হবে। এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ-মায়ানমার নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
দেবীপক্ষে বর্ষাসুরের সম্ভাব্য দোসর হিসেবে দুই ‘অপরাধী’কে চিহ্নিত করেছেন আবহবিদরা। এক, আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে দেশের পূর্ব-পশ্চিমে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার উদয় হতে পারে। দুই, বাংলাদেশ লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে হাজির হতে পারে একটি নিম্নচাপও। তাদের রেশ পুজোর মূল চার দিন পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা কম। কিন্তু তখন যদি বৃষ্টি কমেও আসে, তবু শরতের খটখটে আকাশ পাওয়া কঠিন। কারণ, তখনও বহাল তবিয়তে বঙ্গে থাকবে বর্ষা।
পুজোর প্ল্যানিং সারা৷ শেষবেলার কেনাকাটা চলছে৷ কিন্তু গত ৩ দিন বৃষ্টি সব পণ্ড করে দিয়েছে৷ এখন সে দাপট দেখানো বন্ধ না করলে উপায় নেই৷ তাহলে সেই প্রেডিকশনই কি সত্যি হতে চলেছে? পুজোয় রেনকোট!