পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় যে বক্তৃতা রেখেছেন, তাতে ‘সাম্প্রদায়িক হিংসা’, ‘পরমাণু অস্ত্র’, ‘রক্তগঙ্গা’, ‘অস্ত্র তুলে নেওয়ার হুমকি’ এই সব শব্দবন্ধ উল্লেখ করেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যে ভাষায় ভারতকে আক্রমণ করলেন, তা এক জন রাষ্ট্রনেতার পক্ষে কোনও ভাবেই শোভন নয়। এ ধরনের মন্তব্য তাঁকে ধ্বংসের মুখে টেনে নিয়ে যেতে পারে। পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে এমনটাই জানাল ভারত।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের ফার্স্ট সেক্রেটারি বিদিশা মৈত্র রাষ্ট্রপুঞ্জে ইমরানের ভাষণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা সত্যিই দুর্ভগ্যজনক যে, পাক প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্বকে আড়াআড়ি ভাবে ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা-ওরা, ধনী-গরিব, উত্তর-দক্ষিণ, উন্নত-উন্নয়নশীল এবং মুসলিম-অন্যান্য। তাঁর এই ভাষণ প্ররোচনামূলক। ঘৃণায় ভরা’। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চকে অন্যায় ভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন ইমরান। যে ধরনের শব্দ ইমরান প্রয়োগ করেছেন, তার মধ্য দিয়েই তাঁর মধ্যযুগীয় মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। যা একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে একেবারেই অনভিপ্রেত।
ইমরান দাবি করেছেন, পাকিস্তানে কোনও জঙ্গি সংগঠন নেই! এ প্রসঙ্গে ইমরানকে কটাক্ষ করে বিদিশা বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকাভুক্ত ১৩০ জন জঙ্গি যে তাদের দেশে নেই, পাকিস্তান এটা অস্বীকার করতে পারবে? ওসামা বিন লাদেনকে যারা আশ্রয় দেয়, তাদের মুখে এই দাবি মানায় না।”
রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আরও এক বার ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন ইমরান। কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলে আন্তর্জাতিক মঞ্চের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের হাতিয়ারেই বিদ্ধ হয়েছেন ইমরান। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে ভারত জানিয়েছে, যে দেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা শোচনীয়, তারা যেন ভারতকে মানবাধিকারের পাঠ পড়াতে না আসে।