মহেন্দ্র সিংহ ধোনি কবে অবসর নেবেন, তা নিয়ে কৌতূহলী দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজে ছিলেন না ধোনি। সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে, নভেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন মাহি। কেন তিনি একের পর এক সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছেন, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই কারও। কেউ পরিষ্কার করে কিছু বলছেনও না। এর মধ্যেই বোর্ডের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, চোটের জন্যই নাকি ধোনি মাঠে নামছেন না। পুরোদস্তুর ফিট হতে বিশ্বজয়ী অধিনায়কের নভেম্বর হয়ে যাবে। সেই কারণেই একের পর এক সিরিজ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
বিশ্বকাপের পর থেকেই ধোনির পিঠের পুরনো চোট বেড়েছে। এখনও তা পুরোপুরি সারেনি। গত আইপিএল থেকেই পিঠের চোট ভোগাচ্ছিল ধোনিকে। গত বছরের আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচের পরে চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ককে নিজের চোট প্রসঙ্গে বলতে শোনা গিয়েছিল, “চোটটা খারাপ জায়গায় আছে। তবে কতটা খারাপ, তা জানি না।”
বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে ধোনির বুড়ো আঙুলে বড় আঘাত লাগে। কিন্তু, খেলা চালিয়ে যান ধোনি। ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে যায় সেমিফাইনালেই। তার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ হয়ে ভারত এখন ঘরের মাঠে সিরিজ খেলছে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে। এরপর কুইন্টন ডি ককরা চলে গেলে ভারত সফরে আসবে প্রতিবেশী বাংলাদেশ। শোনা যাচ্ছে, পুরোপুরি ফিট না হলে ধোনি মাঠে নামবেন না। সেই কারণেই তিনি সময় নিচ্ছেন। আধা ফিট অবস্থায় খেলতে নামলে নিজের সেরাটা দিতে পারবেন না। তাতে ক্ষতি হবে ভারতীয় দলেরই। এটাই চান না প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
দেশের ক্রিকেটের জন্য ধোনির এই ভাবনায় মুগ্ধ বিরাট কোহালি। দিন কয়েক আগে রাঁচীর রাজপুত্র প্রসঙ্গে কোহালিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, শুধু ভারতীয় ক্রিকেটের কথাই ভাবেন ধোনি। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা মনে করে, ধোনিও সেটা মেনে চলারই চেষ্টা করে। তবে, এত জল্পনা যাঁকে নিয়ে, সেই মহেন্দ্র সিং ধোনি নিজেই তো মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তাই আসল সত্যি কি, সেটা এখনও অজানাই।